সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ইসরায়েলে ইরানের হামলার নিন্দা করেছে পশ্চিমা খ্রিস্টান দেশগুলো। ১লা এপ্রিল আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে দামেশকের ইরানি কন্সুলেটে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শীর্ষ সামরিক কমান্ডারসহ ৭ জন নিহত হন। এর প্রতিশোধ হিসেবে শনিবার ইরান নিজ ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলের ওপর এ হামলা চালায়। সূত্র : আনাদোলু
[৩] ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, ইরান তার আঙ্গিনায় বিশৃঙ্খলার বীজ বপন করছে।
[৪] তিনি আবারও বলেন, ব্রিটেন ইসরায়েলের পাশে থাকবে। এ ছাড়া আমাদের আঞ্চলিক অংশীদার দেশ জর্ডান ও ইরাকের পাশেও থাকবে লন্ডন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এক্স এ দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েলে ইরানের বেপরোয়া হামলা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার আগুন আরও প্রজ্জ্বলিত হবে।
[৫] ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস অতিরিক্ত জঙ্গী বিমান ও আকাশে পুণজ্বালানি ট্যাংকার পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছেন।
[৬] ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন সেজারন বলেছেন, ফ্রান্স ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন।
[৭] সামরিক সংঘাতের বিস্তার ঘটানোর জন্য ইরানকে দোষারোপ করে তিনি বলেন, ফ্রান্স ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি প্যারিসের সম্পৃক্ততারা পুণর্ব্যক্ত করে দেশটির সঙ্গে তাদের সংহতি প্রকাশ করেন।
[৮] ফরাসী মন্ত্রী বলেন, মিত্রদের সঙ্গে মিলে পরিস্থিতি শান্ত করতে ও সংঘাতের বিস্তার ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে তারা কাজ করবেন। ইসরায়েলি গণহত্যার অন্যতম মদদদাতা জার্মানি ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
[৯] ইতালি নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক ও ইইউ এ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা এ সংঘাতের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিক এন্তোনিও গুতেরেসও এক বিবৃতিতে ইরানের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি অবিলম্বে এ সংঘাত অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :