ইমরুল শাহেদ: [২] থাইল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম বিতর্কিত মামলাগুলোর মধ্যে একটি হলো রাজা আনন্দ মাহিদোলের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু। থাইল্যান্ডের রাজা আনন্দকে ১৯৪৬ সালে তার শয়নকক্ষে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। এই মামলা ফের চালু করার জন্য আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে

[৩] রাম অষ্টম নামে পরিচিত রাজা আনন্দ ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন থাইল্যান্ডে। বর্তমান থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের চাচা এবং শেষ রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজেরবড় ভাই ছিলেন তিনি।

[৪] ১৯৪৬ সালের ৯ জুন মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঘরের বিছানায় দেহ পাওয়া যায় ২০ বছর বয়সি আনন্দের। সরকারি তদন্ত এবং ১৯৫৪ সালে শেষ হওয়া তিনটি আদালতের রায় অনুসারে তাকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছিল।

[৫] প্রাসাদের তিনজন কর্মকর্তাকে রাজহত্যায় জড়িত থাকার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ১৯৫৫ সালে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

[৬] পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছিল, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রিদি ব্যানোমিয়ং এই ষড়যন্ত্র করেন। প্রিদিকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। ১৯৮৩ সালে ফ্রান্সে মারা যান প্রিদি। যদিও পরবর্তীতে সরকার তাকে মুক্তি দিয়েছিল। ১৯৯৭ সালে বিশ শতকের মহান ব্যক্তিত্বের তালিকায় ইউনেস্কো তাকে মনোনীত করে।

[৭] এই মামলাটি পুনরায় চালু করার আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। ব্যাংকক ফৌজদারি আদালতে শুক্রবার শুনানি হয়েছে। এই প্রথম আদালতের নির্দেশে ফের ঘটনাটির তদন্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।

[৮] এই মামলায় প্রথম পিটিশন দাখিল করেছিলেন কুঙ্গওয়াল বুদ্ধিভানিদ। ৬২ বছরের অভিজ্ঞ রসায়নবিদ এবং সাবেক ব্যবসায়িক নির্বাহী কুঙ্গওয়াল ২০২০ সালে একটি বই লিখেছেন। প্রকাশিত এই বইয়ে সরকারি ব্যাখ্যাকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। সেখানে লেখা রয়েছে, রাজা নিজেই নিজেকে গুলি করেন অর্থাৎ হত্যা নয়, আত্মহত্যার ঘটনা ছিল সেটা। তবে এই অভিযোগ প্রথমবার রায়দানের সময় খারিজ করা হয়েছিল। পুরনো রায়ে বলা হয়েছিল, ‘এটা হত্যা। আত্মহত্যা নয়।’

[৯] কুঙ্গওয়ালের কথায়, ‘আমি নতুন প্রমাণ জোগাড় করে এনেছি।’ গত বছর একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরিচালিত ব্যালিস্টিক পরীক্ষার উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, রাজা নিজের বন্দুক দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। সম্পাদনা: রাশিদ

আইএস/আর/আইএফ