রাশিদুল ইসলাম: [২] যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং মঙ্গলবার টেলিফোনে কথা বললেন গত নভেম্বরের পর এই প্রথম। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দুই নেতার মধ্যে ‘গঠনমূলক’ আলাপ হয়েছে। বিবিসি/সিজিটিএন

[৩] ফোনালাপে বিস্তারিত বিবরণ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী উত্তেজনার ইঙ্গিত দেয়। কেননা শি জিনপিং তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে লাল রেখা বা রেড লাইন অতিক্রম না করার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

[৪] গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত ২১ সদস্যের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট। এ সম্মেলনের ফাঁকে তার সঙ্গে বাইডেনের সরাসরি বৈঠক হয়েছিল।

[৫]  তাইওয়ান ইস্যু ও প্রযুক্তির উন্নয়নের মতো বিষয় নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে থাকার পরও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে ওই সময় প্রশংসা করেছিলেন দুই নেতা।

[৬] মঙ্গলবারের ফোনালাপের পর এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই নেতা দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে অনানুষ্ঠানিক ও গঠনমূলক আলাপ করেছেন। এর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয় ছিল, বিরোধের বিষয়ও ছিল।

[৭] চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি বলেছে, ফোনালাপে বাইডেনকে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দুই দেশের উচিত বছরের জন্য ‘সংঘর্ষ নয়, বিরোধিতা নয়’ এমন একটি ভিত্তিমূলক নীতি (বেসলাইন পলিসি) গ্রহণ করা।

[৮] সেই সঙ্গে স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া, ঝামেলাকে উসকে না দেওয়া, সীমা অতিক্রম না করা এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কে সামগ্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন শি জিন পিং, এমনটাই জানিয়েছে সিসিটিভি।

[৯] কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা কূটনৈতিক উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের চীন সফর করার কথা রয়েছে।

[১০] এদিকে আগামী সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠক করবেন। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব এসব বৈঠকের আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।