শিরোনাম
◈ কবে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান? (ভিডিও) ◈ যুবককে কুপিয়ে হত্যা, কেটে নিয়ে গেল হাত (ভিডিও) ◈ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম ◈ ‘দেহ ব্যবসা’র ভিডিও প্রতিবেদন ইস্যুতে সোহানা সাবার হুঁশিয়ারি ◈ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ইতালির মোনফ্যালকনে ◈ নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি সাক্ষাতে ঢাকার অনুরোধ, এখনো চুপ দিল্লি ◈ হদিস মিলছে না পলকের দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী: ফখরুল ◈ ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি, যুবদল নেতাকে পুলিশে দিলো সেনাবাহিনী

প্রকাশিত : ০৩ এপ্রিল, ২০২৪, ০১:০৯ দুপুর
আপডেট : ০৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জার্মান সেনাবাহিনীতে মুসলিমদের জন্য ধর্মগুরু

ইমরুল শাহেদ: [২] জার্মান সশস্ত্র বাহিনীর পার্লামেন্টারি কমিশনার এফা হ্যোগল সেনাদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তার দিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে তিনি তার তৃতীয় বার্ষিক প্রতিবেদনে মুসলমানদের জন্যও ‘মিলিটারি চাপল্যান্সি’ বা ধর্মগুরুর সহায়তার দিকে গুরুত্ব দেন। সূত্র: ডয়েচে ভেলে

[৩] অতীতে যে দলই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিল, তারাই এই বিষয়টিকে অসম্ভব মনে করেছিল। ফলে বছরের পর বছর জার্মান সামরিক বাহিনীতে মুসলিম ধর্মগুরুদের সেবা দিতে দেখা যায়নি।

[৪] মধ্যবাম সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডির হ্যোগল এই পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনতে চান। তিনি মনে করেন যে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী সেনাদের জন্য এটা না থাকাটা খুবই অসন্তোষজনক ব্যাপার। তাই তিনি দ্রুত এক্ষেত্রে যোগ্যদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। 

[৫] হ্যোগল গতবছর দক্ষিণপূর্ব তুরস্কে ভূমিকম্পের পর জার্মান সেনাদের সেখানে উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত হওয়ার কথা স্মরণ করেন। সেখানে মোতায়েন করা সেনাদের মধ্যে মুসলমান সেনারাও ছিলেন। তাসত্ত্বেও সেখানে দুই অমুসলিম সামরিক ধর্মগুরু ‘পাস্টোরাল কেয়ার' দিয়েছেন। জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ২০২৩ সাল অবধি প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী

[৬] বেশ কয়েকবছর ধরেই মুসলিম সেনাদের জন্য আলাদা ‘পাস্টোরাল কেয়ার’ চালুর বিষয়টি জার্মান সামরিক বাহিনীতে আলোচিত হয়েছে। ক্যাথলিক এবং ইহুদি সামরিক ধর্মগুরুরাও এই প্রয়োজনীয়তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

[৭] যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং নরওয়ের সামরিক বাহিনীতে ইসলামী ধর্মগুরু রয়েছে। তাদের অধিকাংশের সামরিক ইমামও রয়েছে। জার্মানিতে এক্ষেত্রে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় ঘাটতি আছে। কারণ এদেশে এমন কোনো সংগঠন নেই যেটি সব ইসলামি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে।  

[৮] সেই তুলনায় ২০১৯ সালে জার্মানির ‘সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব জিউস’ এর সহায়তায় জার্মান সামরিক বাহিনীতে ইহুদি সামরিক ধর্মীয় সেবা চালু করা হয়। কাউন্সিলটি সব ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে। আর জার্মান সামরিক বাহিনীতে ৫০০-র মতো ইহুদি সেনা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। সম্পাদনা: রাশিদ

আইএস/আর/এইচএ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়