এম খান: [২] ২৬ মার্চ মঙ্গলবার পতঞ্জলির ‘অসত্য বিজ্ঞাপন’ সংক্রান্ত মামলায় রামদেব এবং তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণকে তলব করেছিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আদালত অবমাননা সংক্রান্ত একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলিকে নোটিস দিয়ে কৈফিয়ত তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই নোটিসের কোনও জবাব না মেলায় ক্ষুব্ধ হন আদালত।
[৩] আদালত নির্দেশ দেন ২ এপ্রিল আদালতে হাজিরা দিতে হবে রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে। সেই নির্দেশ মেনে ২ এপ্রিল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সশরীরে হাজিরা দেন যোগগুরু রামদেব।
[৪] আনন্দবাজার, এনডিটিভি জানায়, যোগগুরুর আইনজীবী হাত জোড় করে সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চকে বলেন, ‘‘আমরা ক্ষমা চাইতে চাই এবং আদালত যা বলবে তা মানতে প্রস্তুত।’’
[৫] এর পরেই সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেন, ‘‘ফল ভোগ করার জন্য তৈরি থাকুন।’’
[৬] আনন্দবাজার জানায়, রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। অভিযোগ ছিল, কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। আর তার জন্য ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল আইএমএ-র।
[৭] গত বছরের নভেম্বরে মামলাটির শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার বন্ধ না করলে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থাকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে
[৮] গত ২৭ ফেব্রুয়ারির শুনানিতে শীর্ষ আদালতের মন্তব্য ছিল, ‘‘সরকার চোখ বন্ধ করে বসে আছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
আইকে/ এমটি
আপনার মতামত লিখুন :