সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ইসরায়েল সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ব্যাপক মিথ্যাচারের মাধ্যমে তার গাজা আগ্রাসনে কাল্পনিক সাফল্য পাওয়ার চেষ্টা করেছে এবং এই উপত্যকায় চলমান বর্বর হামলা সঠিক বলে প্রমাণ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত দখলদার শক্তির এসব চেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়েছে এবং বিশ্ববাসীর কাছে তা হাস্যকর বলে বিবেচিত হয়েছে। সূত্র: পার্স টুডে
[৩] প্রথম মিথ্যাচার হল, ‘হামাস’ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আল-আকসা তুফান অভিযান শুরু করে। হামাসের ৭ অক্টোবর অভিযানের আগে গাজায় চালিয়েছে ও পশ্চিম তীরে বহুবার আগ্রাসন ২৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। এর মধ্যদিয়ে ইসরায়েলই গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আসছিল।
[৪] দ্বিতীয় মিথ্যাচার হল ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আটক জিম্মিদের মুক্ত করাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। মার্কিন টিভি উপস্থাপক মেহেদি হাসানের মতে, বাস্তবতা হল এই বিষয়টিকে ইসরায়েলিরা অগ্রাধিকার দিচ্ছে না বরং গাজায় প্রচুর সংখ্যক জিম্মি ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ, গুলি ও বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে।
[৫] ইসরায়েলের তৃতীয় মিথ্যাচার ছিল হামাস যোদ্ধাদের হাতে ইসরায়েলি শিশুদের শিরচ্ছেদ।এটি ছিল এমন একটি মিথ্যা যা যাচাই বাছাই ছাড়া প্রকাশ করে মার্কিন নিউজ চ্যানেল সিএনএনের রিপোর্টার ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন।
[৬] চতুর্থ মিথ্যাচার হল আশ-শিফা হাসপাতালে হামাসের কমান্ড সেন্টার। গাজার হাসপাতালগুলোতে ধ্বংসের সমর্থনে এ মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয় দখলদার দেশটি। সেনারা এটির বেজমেন্টে পৌঁছায় তখন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি জানায় যে, এই হাসপাতালে হামাস বাহিনীর কোনো কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নেই।
[৭] পঞ্চম মিথ্যাচার হল ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হতাহতের পরিসংখ্যানে আস্থার অভাব। অথচ গাজার হতাহতের তথ্যের একমাত্র সূত্র হলএ মন্ত্রণালয়।
[৮] ষষ্ঠ মিথ্যাচার হল গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি ইসরায়েলের এই দাবিটি বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। আর সপ্তম মিথ্যাচার হল ফিলিস্তিনিদের নিহত হওয়ার জন্য তারা নয় হামাসই দায়ী। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :