শিরোনাম
◈ ‘ইজতেমার নিয়ন্ত্রণ’ নাকি ‘সাদ কান্দালভি’- তাবলীগ সংকটের কারণ আসলে কী ◈  আমরা কিংস পার্টি নই, আমরা কিংস মেকার:  হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও) ◈ ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি মুকুল গ্রেপ্তার ◈ অনলাইনে আয়কর পরিশোধে ফি বেঁধে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ প্রায় অর্ধেক মানুষই জানে না তার ডায়াবেটিস ◈ তেজগাঁও থেকে বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করলো কাস্টমস ◈ আশা করি নতুন উপদেষ্টাদের কাজ দেখে বিচার করবেন বাংলাদেশের জনগণ : মাহফুজ আলম ◈ উদ্বোধনের অপেক্ষায় ৫২ জেলায় পানির গুণগতমান পরীক্ষাগার, মিলবে বিশুদ্ধ পানি ◈ যে কারণে পুরুষের চার বিয়ে করার কথা বললেন এই অভিনেত্রী হীরা সুমরো ◈ এখনো রাস্তায় আহতরা, উপদেষ্টাদের হাজির হওয়ার আলটিমেটাম

প্রকাশিত : ২৪ জুন, ২০২২, ০৮:২৫ রাত
আপডেট : ২৪ জুন, ২০২২, ০৮:২৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গুজরাট দাঙ্গা থেকে মোদির দায়মুক্তি

নরেদ্র মোদি

ডেস্ক রিপোর্ট: গুজরাটে ২০০২ সালের ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ভারতের বর্তমান হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়। বেশির ভাগই ছিল মুসলিম।

দাঙ্গার শুরু থেকেই নানা অভিযোগ-সন্দেহ ওঠে যে গুজরাটের তৎকালীন বিজেপির রাজ্য সরকার পরোক্ষভাবে দাঙ্গায় উসকানি দিয়েছে এবং হত্যাযজ্ঞ থামাতে ইচ্ছাকৃত-ভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্র সরকার ২০০৫ সালে নরেন্দ্র মোদির ভিসার আবেদন পর্যন্ত খারিজ করে দিয়েছিল।

তবে ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টের নিয়োগ করা একটি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়। 

কিন্তু বিচার বিভাগীয় সেই তদন্ত কমিটির সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গুজরাটে একটি আপিল করেন দাঙ্গায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার রাজ্যের অত্যন্ত সুপরিচিত মুসলিম রাজনীতিক এবং কংগ্রেস এমপি এহসান জাফরির বিধবা স্ত্রী জাকিয়া জাফরি। কিন্তু আদালতে ২০১৩ সালের এক রায় তার আপিল খারিজ করে দেয়।

কিন্তু মিসেস জাফরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে দাঙ্গা নিয়ে নতুন তদন্তের আবেদন করেন। মামলায় তার অভিযোগ ছিল তদন্তে "ষড়যন্ত্রকারীদের সুরক্ষা" দেওয়া হয়েছে। 

কিন্তু ভারতের সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার এক রায়ে যুক্তির ঘাটতি থাকার কথা বলে মিসেস জাফরির আপিল খারিজ করে দেয় এবং নরেন্দ্র মোদিকে দায়মুক্ত করে দেওয়া গুজরাটের আদালতের রায় বহাল রাখে। 

গুজরাট দাঙ্গার প্রথম তদন্ত করেছিল রাজ্য পুলিশ। পরে ২০০৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট নতুন তদন্তের জন্য নিরপেক্ষ একটি কমিটি নিয়োগ করে। চার বছর পর ২০১২ সালে ঐ কমিটি তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেয় যেখানে বলা হয়, দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

আহমেদাবাদের মুসলিম অধ্যুষিত গুলবাগ এলাকায় সশস্ত্র হিন্দুদের যে হামলায় এমপি এহসান জাফরিসহ ৩৫ জন মুসলিম মারা গিয়েছিল সে ঘটনার তদন্তেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে অভিযুক্ত ৬৩ জন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও কোনো প্রমাণ ঐ তদন্তে পাওয়া যায়নি।  

কিন্তু মিসেস জাফরি ক্রমাগত বলে গেছেন দাঙ্গার সময় পুলিশ সহ রাজ্য সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা নিস্ক্রিয় ছিলেন এবং পরোক্ষভাবে সহিংসতায় ইন্ধন দিয়েছেন।  ‍সূত্র: বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়