সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবিরাম হামলা, তান্ডব ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ৫ মাস ধরে চলা এ নৃশংস হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলাকে শতাব্দীর বর্বরতম নৃশংসতা বলে অভিহিত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তিনি বলেন, ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকার ‘ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর নির্লজ্জ গণহত্যা’ চালাচ্ছে। সূত্র: আনাদোলু
[৩] তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান ‘বর্বরতার’ বিরুদ্ধে আবারও নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গত ১৫১ দিন ধরে আমরা গত শতাব্দীর সবচেয়ে বর্বরতম নৃশংসতার সাক্ষী হয়ে আছি।’ প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘পশ্চিমা শক্তিবর্গের সীমাহীন সমর্থনে’ নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনিদের ওপর এই বর্বরতা চালাচ্ছে।
[৪] তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ‘নেতানিয়াহু এবং হত্যাকাণ্ডে তার সহযোগীদেরকে আইন ও জনসাধারণের বিবেকের সামনে প্রতি ফোঁটা রক্তের জন্য অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।’ তিনি অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের পদক্ষেপেরও সমালোচনা করেন। এরদোগান বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের মালিকানাধীন জমি দখল করে আছে তারা, আর এটি হল সংকট সমাধানের অন্যতম বড় বাধা।’
[৫] অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে মুসলমানদের প্রবেশাধিকার সীমিত করার কট্টরপন্থি ইসরায়েলি রাজনীতিবিদদের ‘সম্পূর্ণ অযৌক্তিক’ দাবির নিন্দা করে প্রেসিডেন্ট এরদোগান সকল ধর্মের পবিত্র স্থানগুলোতে তাদের প্রবেশাধিকার বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। এছাড়া ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সিকে (ইউএনআরডব্লিউএ) অসম্মান করার জন্য ইসরায়েলের অপচেষ্টারও তিরস্কার করেছেন এরদোগান। তিনি বলেন, ‘মিথ্যা তথ্য ও অপবাদ’ দিয়ে সংস্থাটিকে অসম্মান করার যে প্রচেষ্টা তেল আবিব চালাচ্ছে তাকে বিশ্বাস করা উচিত নয়। একইসঙ্গে এই সংস্থার অস্তিত্বকেও খর্ব করা উচিত নয়।’ এরদোগান বলেন, ‘স্থায়ী শান্তির একমাত্র পথ হলো ১৯৬৭ সালের সীমানার মধ্যে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম।’ সম্পাদনা: রাশিদ
এসআই/আর/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :