সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] গাজায় ৫ মাস ধরে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলটিকে। কিন্তু যে সামরিক লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল তার কিছুই অর্জন করতে পারেনি। এতে দখলদার ইসরায়েল বাধ্য হয়ে এখন তাদের কৌশল পুণর্বিবেচনা করছে। সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড, আনাদোলু
[৩] ইসরায়েলি হামলা ও তান্ডবে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০৫৩৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৭১৯১৪ জন। এ ছাড়া ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়ে নিখোঁজ আছেন আরও আট হাজারেরও বেশি মানুষ।
[৪] বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েল ৫ মাসের হামলা-তান্ডব চালিয়ে তার সামরিক লক্ষ্যের কোনটিই অর্জন করতে পারেনি। পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা রাজনৈতিকভাবে হামাসকে কিভাবে পরাজিত করা যায় সে পথ খুঁজছে। সাম্প্রতিক খবরে জানা গেছে যে, গাজায় যে সীমিত ত্রাণ যাচ্ছে তার দায়িত্ব যাতে হামাস নিতে পারে তার ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে ইসরায়েল।
[৫] আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের সিনিয়র বিশ্লেষক তাহানি মোস্তফা বলেছেন, ইসরায়েল একটি লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি এবং কোন সুুনিদিষ্ট লক্ষ্য ও কৌশল ছাড়া যুদ্ধ থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে। লন্ডনের কিং কলেজের স্কুল অব সিকিউরিটি স্টাডিজের সিনিয়র লেকচারার এন্ড্রিজ ক্রেইগ মনে করেন, ইসরায়েল এক ‘চরম ব্যর্থ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে’ এবং কোন সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও কৌশল ছাড়াই এ যুদ্ধ থেকে সরে আসতে যাচ্ছে।
[৬] ক্রেইগ বলেন, হামাস নগর যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কাছ থেকে খুব কাছ থেকে হামলা চালাচ্ছে এবং হঠাৎ আবির্ভুত হয়ে শত্রুর ওপর আঘাত হেনে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছেন। এ কারণে হামাস ও অন্যান্য প্রতিরোধ গ্রুপের যোদ্ধাদের হত্যা বা আটক করা কোন সুযোগ বাস্তবে ইসরায়েলি বাহিনীর নেই। তিনি এতো দীর্ঘ সময়ে হামাস তার মাত্র ২০-৩০ শতাংশ যোদ্ধা হারিয়েছে। তবে ইসরায়েল হামাসের ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ ক্ষমতা বেশ দুর্বল করতে সক্ষম হয়েছে যার ফলে এখন তারা ইসরায়েল লক্ষ্য করে খুব কম রকেট হামলা করছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান
এসআই/আইকে/একে
আপনার মতামত লিখুন :