একসময় সব ছিল তাঁর নিয়ন্ত্রণে—তার ডাকেই গড়তে হত প্রতিটি ঘটনা। ‘আপা’ নামটাই ছিল একটি তাবিজ, যার শব্দে ঘটত নানা অদ্ভুত ঘটনা। আপার হাসি, কথা, আস্থা, এবং উপস্থিতি ছিল দেশের টক অব দ্য কান্ট্রি। যাদের মন চাওয়া ছিল, তারা তাঁর আশীর্বাদ চাইতেন। আপার দিকে একবার তাকালে মনে হত যেন দুনিয়ার সব কিছু তার হাতে। হেলিকপ্টারে চড়তেন, ব্যাংকে জমা ছিল কোটি কোটি টাকা। আপা যা বলতেন, তা-ই হতো। তিনি একমাত্র ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি সচিবালয় থেকে সংসদ, দোকান থেকে ব্যবসা—সবখানে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তবে, এমন কিছু পৃথিবী নেই যেখানে চিরস্থায়ী রাজত্ব সম্ভব। তেমনই একদিন, হেলেনের মতো আপারও শেষ সময় এল। তাঁর পতন ছিল অনিবার্য। যেমন ফ্যাসিস্ট, নাজি, কিংবা অন্যান্য বিশ্বের শক্তিশালী শাসকরা এক সময় রাজ্য হারিয়েছেন, তেমনি আপাকেও পরিত্যাগ করতে হয়েছিল। তাঁর শাসনকাল শেষ হয়ে এসেছে।
আজ, বাংলাদেশের রাজনীতিতে 'আপা' এখন আর ক্ষমতায় নেই। জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাঁর পতন নিশ্চিত হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফিরতে সম্ভাবনা আর কিছুই নেই। শফিকুল আলমসহ অনেকেই মনে করছেন, বাংলাদেশের রাজনীতির 'আপা' চ্যাপ্টার এখন সম্পূর্ণভাবে ক্লোজড।
বিশ্বশক্তি যেমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তেমনই আপাকে 'ডেড হর্স' মনে করছে। এর মানে, আপার অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হয়েছে।
বিশ্বরাজনীতিতে এখন কেবল একটি বিষয় পরিষ্কার, আপার শেষ পরিণতি হয়েছে। সূত্র : এনটিভি
আপনার মতামত লিখুন :