শিরোনাম
◈ অক্সফোর্ড কলেজে শতাব্দীর রীতি: দাস নারীর খুলিতে তৈরি পাত্রে পরিবেশন হতো পানীয়! ◈ বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবাহে ভারতীয় বাধা: ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধে পোশাক খাত হুমকির মুখে ◈ বাংলাদেশের সঙ্গে এলএনজি সরবরাহ চুক্তি নবায়ন করবে কাতার ◈ বিভিন্ন জায়গায় ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ১০ ◈ আওয়ামীপন্থি সেই ৬১ আইনজীবীর হাইকোর্টে জামিন ◈ কুয়েট ভিসির অপসারণের দাবিতে দেড় ঘণ্টা অবরোধের পর কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ ছাড়ল শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সংস্কার হচ্ছে, ভাঙচুর নয় ◈ পারভেজ হত্যা: ‘দুই বান্ধবীকে’ খুঁজছে পুলিশ ◈ ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: এবার নতুন তথ্য দিলেন ভারতের সাবেক বাণিজ্য কর্মকর্তা ◈ সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এডিসি নাজমুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৭:২৯ বিকাল
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

`যার গায়েই গুলি লাগছিল সেই নগদে মারা যাচ্ছে, আমি মরার ভান করে শুয়ে ছিলাম, পুলিশ বলল এ এখনো মরে নাই'

গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে আওয়ামী সরকারের পতন হয়। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী। এর আগে ৫ আগস্ট অসংখ্য শিক্ষার্থী পুলিশের হামলায় আহত ও নিহত হন। এরই মধ্যে একজন মাদরাসাশিক্ষার্থী বোরহান খান।

৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পুলিশের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সময় মাদরাসাশিক্ষার্থী বোরহান খান আহত হন। সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেদিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি।

বোরহান খান বলেন, ‘আমরা যাত্রাবাড়ীর ফ্লাইওভাবেরের পাশে ছিলাম। এ সময় পাখির মতো গুলি করা হচ্ছিল।

যার গায়েই গুলি লাগছিল সেই নগদে মারা যাচ্ছে। আমি শুয়ে ছিলাম হাতের ওপর ভর দিয়ে, যার কারণে গুলি আমার হাতের সাইড দিয়ে চলে গিয়েছিল। দাগটা এখনো রয়ে গেছে। আল্লাহর রহমতে হাতের হাড়ে লাগেনি গুলি।
যে কারণে বড় ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হইনি। আমার হাতে গুলি লাগার পর আমি সোজা হয়ে শুয়ে যাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘যখন দেখলাম পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের আয়ত্তে আছে। গুলিটা লাগার পর আমি মরার ভান করে শুয়ে ছিলাম। যেহেতু আমার প্রাণ ছিল, যদি এরকম টেকনিক খাটাই তাহলে বাঁচতে পারি এমন মনে হচ্ছিল।

চোখগুলো বন্ধ ছিল, কিছুক্ষণ পর চোখ মেলে দেখি গুলি চলছেই।’

গুলির শব্দে আমার চোখ নড়ছে দেখে এক পুলিশ দেখে বলছে, এ এখনো মরে নাই উল্লেখ করে বোরহান বলেন, ‘পরে পুলিশেরা আমাকে জোরে জোরে আঘাত করতে থাকে, আমার মাজায়, পায়ে লাথি দেয়। পরে আমার চোখে-মুখে পানির ছিটা দেওয়ার পর আমি পরিপূর্ণভাবে চোখ মেলে উঠে বসি। তখন আশপাশ থেকে আরো পুলিশ এসে আমাকে রাইফেল-পিস্তল দিয়ে অনেক জোরে জোরে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করতে থাকে। তখন আমি চিৎকার করে বলছিলাম, স্যার আমাকে ছেড়ে দেন। পরে একজন বলেন, উনাকে আর মারিয়েন না। আমার পায়ের রানগুলো ফুলে গেছে, পা অনেক জখম হইছে। পরে একজন বলেন, উনি যদি যেতে পারেন তাহলে ছেড়ে দেন।’

গত বছরের ৫ আগস্ট টানা ১৫ বছর পর পরাজয় হয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়