রয়টার্স: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ভিডিও এবং ইমেজ জেনারেশন প্রযুক্তি ওয়ান ২.১ জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য বা ওপেন সোর্স হিসেবে চালু করেছে চীনের ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা। এর আগে মডেলটি সীমিত পরিসরে ডেভেলপারদের জন্য চালু করা হয়। আজ বুধবার থেকেই এই মডেল ব্যবহার করা যাবে। এই পদক্ষেপ সম্ভবত এই মডেলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে এবং এআই খাতে প্রতিযোগিতাকে আরও তীব্র করবে।
এদিকে চীনে স্টার্টআপ ডিপসিক তাদের সস্তা ওপেন সোর্স মডেলগুলো প্রকাশের মাধ্যমে প্রযুক্তি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সাড়া ফেলে এবং ব্যাপক নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। এই স্টার্টআপে মডেলগুলোর কার্যকারিতার সঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠিত যেমন: ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটির কার্যকারিতার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। তাই এআই বাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে আলিবাবা এই পদক্ষেপ নিল।
আলিবাবা জানিয়েছে, তারা ওয়ান ২.১-এর চারটি সংস্করণ প্রকাশ করেছে। সেগুলো হলো—টি২ভি ১.৩ বি, টি২ভি ১.১৪ বি, আই২ভি ১৪ বি–৭২০পি এবং আই২ভি ১৪ বি–৪৮০পি টি২ভি ১.৩ বি। এগুলো টেক্সট এবং ইমেজ ইনপুট থেকে ছবি ও ভিডিও তৈরি করতে পারে। ‘১৪ বি’-এর মানে হলো—এই সংস্করণগুলো ১৪ বিলিয়ন প্যারামিটার গ্রহণ করতে পারে। অর্থাৎ, এগুলো আরও বেশি ইনপুট প্রসেস করতে পারে এবং এর ফলে আরও সঠিক ফলাফল দেয়।
বিশ্বব্যাপী একাডেমিক, গবেষণা ও বাণিজ্যিক ব্যবহারকারীদের জন্য এই মডেলগুলো এখন আলিবাবার ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ‘মডেলস্কোপ’ ও ‘হাগিংফেসএ’ পাওয়া যাবে।
আলিবাবা জানিয়েছে যে, তারা জানুয়ারি মাসে ভিডিও ও ইমেজ জেনারেশন মডেলের সর্বশেষ সংস্করণ ওয়ান ২.১-এর উন্মোচন করেছিল এবং পরে এর নাম সংক্ষেপ করে ‘ওয়ান’ রাখা হয়েছে। এটি খুবই বাস্তবসম্মত ভিজ্যুয়াল তৈরি করার ক্ষমতার জন্য ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। কোম্পানি আরও দাবি করেছে যে, তারা ভিবিবেঞ্চ নামের একটি সূচকে ভিডিও জেনারেটিভ মডেলের তালিকায় শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। এখানে মাল্টি-অবজেক্ট ইন্টারঅ্যাকশনসহ অন্যান্য কার্যক্রমে প্রথম স্থানে রয়েছে আলিবাবার মডেলটি।
এ ছাড়া, গত মঙ্গলবার আলিবাবা তাদের নতুন রিজনিং মডেল কিউডব্লিউকিউ–ম্যাক্সও উন্মোচন করেছে, যা সম্পূর্ণভাবে উন্মোচনের পর ওপেন সোর্স হিসেবে উন্মুক্ত হবে।
এদিকে, চলতি সপ্তাহেই আলিবাবা বলেছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে তাদের ক্লাউড কম্পিউটিং এবং এআই অবকাঠামো উন্নয়নে ৩৮০ বিলিয়ন ইউয়ান বা ৫২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এই বিশাল বিনিয়োগ ই-কমার্স জায়ান্টটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব স্থানে আসার উচ্চাকাঙ্ক্ষা স্পষ্ট করে তুলেছে।