শিরোনাম
◈ মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে মার্কিন শুল্ক থাকলে  ◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:২৩ দুপুর
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিটিআরসির অভিযানে বন্ধ হচ্ছে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ জিপিএস সার্ভার

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সম্প্রতি অবৈধ জিপিএস ট্র্যাকিং পরিষেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন লাখো জিপিএস ব্যবহারকারী।

জানা যায়, লাইসেন্স নেই এমন যানবাহন ট্র্যাকিং পরিষেবা (ভিটিএস) কোম্পানির সার্ভার বন্ধ করে দিচ্ছে বিটিআরসি। সম্প্রতি বিটিআরসি কোনো অনুমোদন বা লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করার অভিযোগে মটোলক, ট্যাসলক ও সিনোট্র্যাক–এ তিনটি কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গত বছর রাজধানীতে মটোলক জিপিএস ট্র্যাকার, ট্যাসলক জিপিএস ট্র্যাকার, রিমোট এবং ফ্রিকোয়েন্সি ডিভাইস অবৈধভাবে বিক্রি করার অপরাধে র‍্যাব তিনজনকে গ্রেফতার করে। সেসময় এ অবৈধ ভিটিএস কোম্পানিগুলোকে সতর্ক করা হয়েছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে পরিচালিত বিভিন্ন অভিযানে বিটিআরসি কমপক্ষে ৩৬টি লিংক, আইপি অ্যাড্রেস ও সার্ভার ব্লক করেছে। তাছাড়া সব আইআইজি, আইএসপি এবং টেলিকম অপারেটরদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কীভাবে অনুমোদন ছাড়াই বিপুল পরিমাণ সিম কার্ড ক্রয় করা হয়, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বিটিআরসি।

অবৈধ কোম্পানিগুলোর সার্ভার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের পরিষেবা গ্রহণকারী হাজার হাজার জিপিএস ব্যবহারকারীরা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন ট্যাসলক, মোটোলক, সিনোট্র্যাক এবং অন্যান্য অবৈধ অপারেটরদের সেবা গ্রহণকারী গ্রাহকরা।

তাছাড়া দেশে অবৈধ জিপিএস পরিষেবার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সম্প্রতি চারটি ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং পরিষেবা (ভিটিএস) কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করেছে।

খাত-সংশ্লিষ্টরা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্যবহারকারীদের অনুমোদিত বা বৈধ ভিটিএস কোম্পানিগুলো থেকে অনুরূপ পরিষেবা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। এর অন্যতম কারণ হলো, অবৈধ পরিষেবা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে বিটিআরসির অভিযান অব্যাহত থাকবে। ফলে যেকোনো সময় সেসব অবৈধ অপারেটরদের সার্ভার ব্লক হয়ে যেতে পারে।

এদিকে, ভেহিকেল ট্র্যাকিং সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনস অব বাংলাদেশের (ভিটিএসপিএবি) মুখপাত্ররা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, সাম্প্রতিক এ অভিযান বৈধ কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করবে এবং গ্রাহকদের অনুমোদিত যানবাহন ট্র্যাকিং পরিষেবা গ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করবে।

বন্ডস্টাইন টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম বলেন, আমি মনে করি, বিটিআরসির এ সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তিখাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটি লাইসেন্সধারী বৈধ ভিটিএস ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করবে, যা দেশের প্রযুক্তি ইকোসিস্টেমে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে। এ উদ্যোগ বাংলাদেশের সরকারের রাজস্ব আহরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়