মোঃ মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা): ৩দিনেও রহস্যের জট খুলেনি দেশি হাঁসে কালো ডিমের। এনিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা কৌতহল। কালো ডিম আলোকিক ঘটনা নাকি ভিন্ন কোনো কারণ? এনিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কৌতুহলী মানুষের মধ্যে। তবে টানা তিন দিন পর্যবেক্ষণ করেও কি কারণে দেশি হাঁস এমন ডিম দিচ্ছে তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর।
দেশি হাঁসের কালো ডিম দেয়া নিয়ে চরফ্যাশনের জিন্নগড় ইউনিয়নের গ্রামজুড়ে টানা দু’দিন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে তৃতীয় দিনেও ওই বাড়িতে ভীর জমাচ্ছেন শিশু, কিশোর, বয়স্ক উৎসুক জনতা। তবে তৃতীয় দিনে ডিম দেয়নি সেই হাঁসটি। এনিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে। তবে একটি দেশি হাঁস সাদা ডিম দেয়ার পরিবর্তে কালো ডিম দেয়ার বিষয়টি রূপকথার গল্পর মতো মনে হলে ও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। হাঁসটি অনবরত দু’দিন কালো ডিম দিয়েছে চরফ্যাশনের জিন্নাগড় ইউনিয়নের প্রবাসী আবদুল মতিনের খোঁয়াড়ে। অনবরত দু’দিন সেই হাঁসটি কালো ডিম দিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপার সৃষ্টি করেছে। তৃতীয় দিনে হাঁসটি ডিম না দিলেও ওই বাড়িতে ভীর কমেনি উৎসুক জনতার। কালো ডিম ও হাঁসটিকে একনজর দেখতে দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষ।
৮ মাস বসয়সী দেশি হাঁসের কালো ডিম দেয়া নিয়ে কৌতহলের যেন শেষ নেই। নেট দুনিয়া ভাইরাল হয়ে উঠেছে দেশি হাঁসের কালো ডিম নিয়ে। এ থেকে বাদ পরেনি মিডিয়া কর্মীরাও। সংবাদ সংগ্রহে ছুটে আসেন চরফ্যাশনের প্রবাসী মতিনে বাড়িতে। শুক্রবার জিন্নাগড় ইউনিয়নের প্রবাসী মতিনের বাড়িতে গেলে এমন চিত্র দেখা যায়।
হাঁসের মালিক প্রবাসী আবদুল মতিন জানান, প্রায় ৮ মাস আগে স্থানীয় ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে তিনি ১৭টি হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করেন। এর মধ্যে ৬টি বাচ্চা মারা গেলেও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিচর্যায় তাদের খোঁয়াড়ে বেড়ে উঠে ১১টি হাঁস। অন্য হাঁসদের সাথেই নিয়মিত থাকতেন হাঁসটি কখন কোন ভিন্নতা চোখে পরেনি তাদের। ৮ মাসে হাঁস গুলো প্রাপ্ত বয়স্ক হয়। এর মধ্যে গত বুধবার সকালে হাঁসে খোঁয়াড়ে গিয়ে দেখেন তাদের ১১টি হাঁসের মধ্যে ওই হাঁসটি একটি কালো রংয়ের ডিম দিয়ে আগলে বসে আছে। এতে তিনি ওই হাঁসটি কালো ডিম দিয়েছে এটা সনাক্ত করতে পারেন। এটাই তার ১১টি হাঁসের মধ্যে প্রথম দেয়া ডিম হাঁস। একইভাবে বৃহস্পতিবার আরো একটি কালো ডিম দেয়। তবে শুক্রবার হাঁস ডিম দেয়া বন্ধ করে দেয়। তাও ভীড় কমেনি তার বাড়িতে শিশু , কিশোর , বয়স্ক উৎসুক মানুষের।
ডিম দেখতে আসা দর্শনার্থী সবুজ জানান, বিভিন্ন সংবাদ পত্রে খবর দেখে হাঁস ও কালো ডিম দেখতে এসেছি। বিষয়টি রূপকথার গল্পের মতো মনে হলে ওই বাড়িতে এসে ঘটনার বাস্তবাতা পেয়েছি। দেশি হাঁসের কালো ডিম দেখে খুব ভালো লাগছে।
দর্শনার্থী জন প্রতিনিধি কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু জানান, কি কারণে দেশি হাঁস কালো ডিম দিচ্ছে তার খুব দ্রুত পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে বের করা উচিত। তাহলে আসল কারণ জানা যেতো।
ভোলা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল জানান, আমারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করবো। পরে ডিমগুলো পরীক্ষাগারে পাঠনো হবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে অন্য ক্রোস জাতের সঙ্গে ক্রোস বা ইনফেকশন থেকে এমনটা হতে পারে। পরীক্ষা-নিরিক্ষা ছাড়া আপাদত আর কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে দেশি হাঁসের কালো ডিম দেয়া এটাই প্রথম। সম্পাদনা: হ্যাপী
আপনার মতামত লিখুন :