শিরোনাম
◈ বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত : ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:১২ দুপুর
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হরেক রকম পণ্য বিক্রি করে চলে মোস্তফা আলীর সংসার

মাহবুব সৈয়দ,পলাশ(নরসিংদী)প্রতিনিধি : জীবিকা যুদ্ধের এক জীবন্ত সৈনিক ফেরিওয়ালা মোস্তফা আলি।হরেক রকম পন্য বিক্রি করে সংসার চালান তিনি।এ পেশা তার পৈতৃক সুত্রে পাওয়া। পিতা মৃত মজলিস আলীও ফেরিওয়ালা করে জীবন কাটিয়েছেন।নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পাইকসা গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা আলী বয়সে ষাটোর্ধ ছুইছুই দাঁড়ি গোফে ঢাকা মুখখানায় ক্লান্তির ছাপ নেই।নানা পণ্যে সাজিয়ে ভ্যান গাড়ি চলছে সারাদিন। স্বল্প মূল্যে প্রাস্টিকের নানা পণ্য প্রকার সামগ্রী বিক্রি করছেন।আজ এ গ্রামে তো কাল ঐ গ্রামে এভাবেই চলছে তার ভ্রাম্যমান ব্যবসা।

তার ভ্রাম্যমাণ দোকানে পাওয়া যায়, প্রাস্টিকের বাটি,ডালা,লবণদানি,বদনা,টুল,বাচ্চাদের খেলনা ও কসমেটিক্সসহ প্রায় ৭০ প্রকারের জিনিস। এই হরেক রকমের যে কোনো পণ্য মাত্র ১০-১০০টাকা বিক্রি হওয়ায় এরই মধ্যে এলাকার গৃহিণীদের কাছে ভালো সারা পাচ্ছেন। সব হরেক রকমের নানা প্রকারের পণ্যসামগ্রী নিয়ে ছুটে চলছে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে আর হাঁক-ডাক দিয়ে বলছেন ‘রাখবেন হরেক মাল, রাখবেন হরেক মাল, ধরলেই মাত্র ১০-১০০ টাকা। মা বোনদের কার কার লাগবে আপনারা দ্রুত চলে আসুন।

পণ্য কিনতে আসা মৌসমী বেগম নামে এক ক্রেতা বলেন, হাতের কাছে কম দামী জিনিস পেয়ে বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় হরেক রকম পণ্য ক্রয় করলাম।বাচ্চাদের জন্য খেলনা, সংসারের কিছু জিনিসপ এ এবং নিজের জন্য চুলের ক্লিপ কিনেছি।

ফেরিওয়ালা মোস্তফা আলী বলেন,এ ব্যবসায় বেচাকেনা ভালোই হয়। আমার অধিকাংশ ক্রেতাই গ্রামের মহিলা।গ্রামের ধনী-গরীব সবাই আমার কাছ থেকে নানা জিনিসপত্র কিনে থাকেন।অন্যান্য ব্যবসার মতো আমাকেও খরিদদারদের বাকি দিতে হয়।তবে আমি লোক চিনে বাকি দেয়। যাদের লেনদেন ভালো তাদেরকে বাকি দিতে কার্পণ্য করিনা।উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ফেরি করি।একই গ্রামে প্রতিদিন যায়না।৫/৬দিন পর পর এক গ্রামে যায়।এতে বিক্রি ভালো হয়। এ ব্যবসা থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় হয়।

তিনি আরো বলেন,ঈদ-পূজাসহ বিভিন্ন উৎসবের সময় তিনি মেলা হলে সেখানে যান। মেলায় বেঁচাবিক্রি খুব ভালো হয়।প্রতিদিন যে উপার্জন হয় তাতে আয় করতে না পারলেও স্বাছন্দে-স্ত্রী সন্তান ও নাতিদের নিয়ে সংসার চলে যায়।সরকার বা কোন ধনার্ঢ্য ব্যাক্তি যদি একটি দোকান করে দেয়,তবে আমার বাকী জীবন পরিবারসহ কাটিয়ে দেয়া সহজ হতো।
পরিশ্রমী জীবন-সংগ্রামী মানুষ ফেরিওয়ালা মোস্তফা আলী সৎ পথে লড়ছেন জীবিকা নির্বাহের জন্য।নিত্যদিন তিনি বিরামহীন ছুটছেন হরেক রকমের পণ্যের ভ্যানগাড়ি নিয়ে পথে প্রান্তরে গ্রাম- গঞ্জে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়