শিরোনাম
◈ সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা, যে সব বিষয় নিয়ে হতে পারে আলোচনা  ◈ ঢাকা-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার গ্রেফতার ◈ ঘূর্ণিঝড় ‌‘ডানা’ নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেলো ◈ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুতের ৬ কর্মকর্তা রিমান্ডে ◈ নির্বাচন নিয়ে আসিফ নজরুলের বক্তব্য সরকারের বক্তব্য নয়: ধর্ম উপদেষ্টা ◈ হাওরে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার ◈ ২০২৬ সালের মধ্যেই দেশের প্রথম পাতাল রেল চালু করতে চায় কর্তৃপক্ষ (ভিডিও) ◈ জাতীয় মসজিদের নতুন খতিবকে নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর মন্তব্য ভাইরাল ◈ শেখ হাসিনাকে কোন প্রক্রিয়ায় ফেরত আনা হবে, জানালেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল (ভিডিও) ◈ এতো দাম দেখে অবচেতনমনেই বলে ফেলি আগেই ভালো ছিলাম : হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৯ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৫৭ দুপুর
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিগারেটের শেষাংশ জমিয়ে শত কোটি টাকার মালিক ! (ভিডিও)

২০১৮ সালে দুই ভাই নমেন গুপ্ত ও ভিপুল গুপ্ত সিগারেটের বাঁট রিসাইকেল করার চিন্তা শুরু করেন। সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করেন। শুরুতে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকলেও বর্তমানে তাঁদের এ উদ্যোগ বড় রূপ নিয়েছে। রীতিমতো এ জন্য কারখানাও গড়ে তুলেছেন দুই ভাই মিলে। আর তাঁদের এ উদ্যোগ প্রশংসিতও হচ্ছে বিভিন্ন মহলে।

ভারতের ফেলে দেওয়া সিগারেটের বাঁট দিয়ে খেলনা, বালিশসহ বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করে প্রশংসিত হচ্ছেন দুই তরুণ উদ্যোক্তা। এ জন্য দুই তরুণ মিলে গড়ে তুলেছেন কোড ইফোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামের এক কোম্পানি, যেটির কারখানা ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির উপকণ্ঠে নয়ডা শহরতলিতে। কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা বলছেন, এই কাজের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি তাঁরা পরিবেশ সুরক্ষায়ও কাজ করছেন। খবর এনডিটিভি ও আনাদুলু এজেন্সির

উদ্যোক্তা নমেন গুপ্ত বলেন, ‘আমরা শুরুটা করেছিলাম দিনে ১০ গ্রাম তুলা (ফাইবার) দিয়ে। এখন দৈনিক ১ হাজার কেজি তুলা সংগ্রহ করছি। এভাবে বছরে আমরা লাখ লাখ সিগারেটের বাঁট রিসাইকেল করছি।’

প্রথমে শহরের বিভিন্ন সড়ক থেকে সিগারেটের স্টাব বা বাঁট সংগ্রহ করেন তাঁরা। এরপর সেটি থেকে ফাইবার বা তুলার অংশটি আলাদা করে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা হয়। এরপর প্রক্রিয়াজাত এই তুলা থেকে তৈরি করা হয় নানা ধরনের পণ্য। কোড ইফোর্টের প্রতিষ্ঠাতা নমেন বলেন, একটি সিগারেটের বাঁটে তিনটি উপাদান থাকে—ফাইবার, কাগজ ও তামাক। আমরা এই তিনটি অংশকেই পুনর্ব্যবহার করছি। এখন পর্যন্ত রাস্তা থেকে ৩০ কোটির বেশি সিগারেটের বাঁট সংগ্রহ করে তা প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে। এসব বাঁট দিয়ে নরম খেলনা, বালিশ, বিভিন্ন স্টেশনারি পণ্য ও বাড়ির সাজসজ্জার সামগ্রীসহ বেশ কয়েকটি পণ্য বানান তাঁরা।

এ ছাড়া সিগারেটের বাঁটের বাইরের কাগজের স্তর ও উচ্ছিষ্ট তামাককেও আলাদা করে পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা হয়। পরে এগুলো পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা হয় কাগজ ও কম্পোস্ট পাউডার। এ ছাড়া সম্প্রতি ডায়েরি, নোটপ্যাড, খাম ইত্যাদি বানানো শুরু করেছেন তাঁরা। ২০২৬ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০০ কোটি সিগারেটের বাঁট পুনর্ব্যবহার করার লক্ষ্যে কাজ করছেন নমেন গুপ্ত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, তাদের অনুমানে ভারতের ৩০ শতাংশ বা প্রায় ২৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করে। তাতে প্রতিদিনই কয়েক কোটি সিগারেটের বাঁট রাস্তায় ফেলা হয়। এতে রাস্তা ময়লা হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশদূষণও হচ্ছে। সেই দূষণ কমাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে দুই ভাইয়ের উদ্যোগ।

নমেন গুপ্ত বলেন, ‘রাস্তায় ফেলে রাখা সিগারেটের বাঁটগুলো পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখছি। পাশাপাশি বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষকে সিগারেট ছেড়ে দিতেও উদ্বুদ্ধ করছি।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়