এল আর বাদল : সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে ইতিহাস গড়া সাফল্য নিয়ে ফুটবল রাজকন্যারা বুধবার দুপুরে কাঠমান্ডু থেকে দেশে ফিরেছেন। বিমানবন্দরে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাফুফের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ও অন্য কর্তারা বরণ করে নেন সাবিনা-মারিয়া-কৃষ্ণাদের।
দুপুরের বেশ আগে থেকেই বিমানবন্দরের বাইরে সমর্থকদের ভীড় ছিলো। সময়ের সঙ্গে জনস্রোতে রূপ নেয় বিমানবন্দর এলাকা। হাতে হাতে পতাকা ও ব্যানার, কণ্ঠে স্লোগান। সুসজ্জিত ব্যান্ড দল বাজাতে থাকে ‘জয় বাংলার, বাংলার জয়।’ বিমানবন্দরের ভেতরে তখন জয়ের গৌরব নিয়ে দেশে ফেরা নারী ফুটবল দলের প্রতেককে স্বাগত জানানো হয় ফুলের মালায়।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরুতেই কেক কাটা হয়। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী কেক তুলে দেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের মুখে। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকেও কেক খাইয়ে দেওয়া হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী এরপর একে একে দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের গলায় পরিয়ে দেন ফুলের মালা। এরপর দুহাতে ট্রফি উঁচিয়ে চওড়া হাসিতে এগিয়ে যান অধিনায়ক সাবিনা।
বিমানবন্দরের বাইরে তখন অপেক্ষায় হাজার হাজার মানুষ। অনেকের হাতেই জাতীয় পতাকা, নানা রকম ব্যানার। বিকেএসপির একটি বড় দলও দেখা যায় সেখানে লাইন ধরে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত চারপাশ।
বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষায় মেয়েদের সেই স্বপ্নযাত্রার বাহন, ছাদখোলা বাস। সেই বাসে উঠেই বাফুফের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ফুটবলের রাজকন্যারা। বিমানবন্দর থেকে বাফুফে যাওয়ার সময় বাস ঘিরে সর্বক্ষণ চলছে সমর্থকদের মিছিল আর স্লোগান। গাড়ি আর মোটর সাইকেলের বহরও ছিলো। প্রচণ্ড ভিড়ে বাস এগিয়ে যাচ্ছে ধীর গতিতে। এয়ারপোর্ট থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো রাস্তায় সমর্থকদের অবস্থান। হাত নেড়ে তারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজয়ী নারীদের।
জনস্রাতের কারণে বাসটি এগোচ্ছিলো ধীরে ধীরে, সন্ধ্যায় পৌঁছায় মতিঝিলে বাফুফে ভবনে। সেখানে ফুটবলারদের বরণ করে নেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। পরে ফুটবল দলকে দেওয়া হয় সংবর্ধনা।
কাঠমান্ডু থেকে ফেরার পথে ফ্লাইটেও এক দফায় উদযাপন হয়। সেখানে বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয় দলকে। সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার ও বিমানের ক্রু সানোয়ার হোসেন মিষ্টিমুখ করান মেয়েদের। কেক কাটার পর্ব ছিল বিমানেও। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :