নিজস্ব প্রতিবেদক ; দারুণ এক জয় দিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ ( ডিপিএল ) শেষ করলো আবাহনী লিমিটেড, শুধু জয় নয়, রীতিমত শিরোপা জিতেছে দলটি, দেশিয় ক্রিকেটের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা মোহামেডানকে হারিয়ে এ কৃতিত্ব অর্জন করে আবাহনী, এদিন জিতলেই চ্যাম্পিয়ন, হারলে শেষ শিরোপা স্বপ্ন। এমন সমীকরণ মাথায় রেখে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ডিপিএলের সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল মোহামেডান। কিন্তু জয় তো দূরে থাক, আবাহনীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করতে পারেনি সাদা-কালোরা। আবাহনীর কাছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হেরে গেছে মোহামেডান।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ- লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর এখন অব্দি কোনও শিরোপা জিততে পারেনি মোহামেডান। তবে এই সময় ৫টি শিরোপা জিতেছে আবাহনী। এবার সংখ্যাটা দাঁড়াল ছয়ে।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ২৪০ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান। দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও তৌফিক খান তুষার মিলে সাবধানী শুরু করেছিলেন। তাদের ৫০ রানের জুটির পর কিছুটা ছন্দ হারায় মোহামেডান। তৌফিক ১৬ রানে আউট হলে দারুণ খেলতে থাকা রনিও সাজঘরে ফেরেন। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৪৭ বলে ৪৬ রানের ইনিংস।
এরপর আনিসুল ইসলাম ১৫ ও ফরহাদ হোসেন ৪২ রান করে আউট হন। পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম মিলে গড়েন ১০০ রানে গুরুত্বপূর্ণ জুটি। তাতে মনে হচ্ছিল, মোহামেডানের স্কোরটা দেড়শ ছাড়িয়ে যাবে। যদিও শেষ অব্দি ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ২৪০ রানে। আরিফুল ও মাহমুদউল্লাহ দু’জনই খেলেন ৫০ রানের ইনিংস। আবাহনীর হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
রান তাড়ায় শুরুতেই শাহরিয়ার কমলের উইকেট হারায় আবাহনী। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এদিন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩১ বলে ২৮ রান করে ফিরেছেন তিনি।
তবে তিনে নামা জিসান আলম পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ৫৩ বলে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৫ রান। তবে আবাহনীর জয়ের মুল দুই নায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দুজনেই করেছেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং। মিঠুন ও মোসাদ্দেক পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ৬৫ বলে ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন মোসাদ্দেক। মিঠুন অপরাজিত ছিলেন ৬৬ রানে।