শিরোনাম
◈ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ভ্যাটিকান সিটিতে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময় ◈ দেশে নতুন ভোটার ৬৩ লাখ, বাদ ২৩ লাখ মৃত ভোটার ◈ দেশের দক্ষিণের ২১ জেলায় বিকেল থেকে ‘ব্ল্যাক আউট’ ◈ বড় দুই ভাই টম ও স্যাম কারান ইংল্যান্ডের হ‌য়ে খেল‌লেও বাবার দেশের হয়ে খেলছেন বেন কারান! ◈ জুলাই যোদ্ধাদের মতো দেশের জন্য ভাবতে হবে, শিক্ষার্থীদের আসিফ নজরুল ◈ তিন দাবিতে ফের আন্দোলনে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা ◈ সিস্টেম লসে দেশের গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বিলিয়ন ডলার ◈ কাশ্মী‌রে হামলা নি‌য়ে ভারতের অভিযোগে শহীদ আফ্রিদির ক্ষোভ, ক্রিকেট পা‌রে দুই দেশ‌কে একত্র কর‌তে ◈ ক্রিকেট বো‌র্ডের ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তরের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’: বিসিবির বিবৃ‌তি ◈ ঝটিকা মিছিল বিরোধী অভিযান, গ্রেফতার ৮ 

প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:৩৪ বিকাল
আপডেট : ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

ক্রিকেট বো‌র্ডের ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তরের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’: বিসিবির বিবৃ‌তি

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলা‌দেশ ক্রিকেট বো‌র্ডের স্থায়ী আমানত বিভিন্ন ব্যাংকে (এফডিআর) স্থানান্তর নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে ক্রিকেট মহলে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে একক সিদ্ধান্তে টাকা সরানোর অভিযোগ উঠে আসার পর বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে।

শুরুতে অভিযোগ ছিল, সভাপতি নিজ উদ্যোগে প্রায় ১২০ কোটি টাকা সরিয়েছেন। পরে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, প্রকৃত অঙ্ক ২৫০ কোটি টাকা, এবং এতে বিসিবির কয়েকজন শীর্ষ পরিচালকও জড়িত।

তবে শনিবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এসব অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে বিসিবি।

বিবৃতিতে বলা হয়, "জাতীয় গণমাধ্যমের একটি অংশে বিসিবির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয় এবং বোর্ড ও এর সভাপতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রচার করা হয়েছে।

বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, "২০২৪ সালের আগস্টে দায়িত্ব গ্রহণের পর সভাপতি ফারুক আহমেদ বিসিবির আর্থিক স্বার্থ রক্ষায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেন। এর অংশ হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত গ্রীন ও ইয়েলো জোনভুক্ত ১৩টি ব্যাংকে পুনঃবিনিয়োগ করা হয়।

উত্তোলিত টাকার মধ্যে ২৩৮ কোটি টাকা পুনঃবিনিয়োগ এবং ১২ কোটি টাকা বোর্ডের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।"

বিসিবি স্পষ্ট করে জানিয়েছে, সভাপতির একক সিদ্ধান্তে কোনো ব্যাংক পরিবর্তন বা আর্থিক লেনদেন হয়নি।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, "বোর্ডের আর্থিক লেনদেন পরিচালনায় ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা এবং টেন্ডার ও পারচেজ কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম যৌথভাবে স্বাক্ষর করেন। বোর্ড সভাপতি এ সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাক্ষরকারী নন। "

বিসিবি আরও দাবি করেছে, কিছু সুবিধাভোগী ও ষড়যন্ত্রকারী মহল বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।

বোর্ডের ভাষ্য অনুযায়ী, "বর্তমানে বিসিবির স্থায়ী আমানত দেশের ১৩টি নির্ভরযোগ্য ব্যাংকে সংরক্ষিত আছে। নতুন ব্যবস্থাপনায় আমানত থেকে ২-৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত মুনাফা অর্জিত হয়েছে। পাশাপাশি, গত ছয় মাসে তিনটি ব্যাংকিং অংশীদার থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ এবং অবকাঠামো উন্নয়নে আরও প্রায় ২০ কোটি টাকার বিনিয়োগের আশ্বাস পাওয়া গেছে। 

বিসিবি জানিয়েছে, তারা সর্বোচ্চ মানের আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। পাশাপাশি, গণমাধ্যমকে তথ্য যাচাই করে প্রতিবেদন প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে বোর্ড।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়