স্পোর্টস ডেস্ক ; মোহামেডানের তাওহিদ হৃদয়ের সাজা কমানোর যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তা যে ভুল ছিলো সেটা স্বীকারোক্তি দিচ্ছে নিজেরাই। আর তাইতো জাতীয় দলের উঠতি তারকার সাজা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ফলে মিস করবেন চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) পরের ম্যাচটি।
আজ (২৪ এপ্রিল) মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমকে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, 'আমার মনে হয় আমরা প্রক্রিয়ার কিছুটা বাইরে চলে গিয়েছিলাম। অভ্যন্তরীনভাবে বাইলজ বদল করে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো সেটা নেওয়ার এখতিয়ার এখানে এই কমিটির নেই। আমাদের যেটা করতে হবে আগের যে নিয়ম কানুন ছিলো সেটা অনুসরণ করতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আগের একটা ঘটনার কারণে যাকে দুই ম্যাচের নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো, কিন্তু তাকে এক ম্যাচ পরই খেলতে দেওয়া হয়।
আমরা তো সেটা ফিরিয়ে আনতে পারব না। আমরা সেটা (অগ্রনী ব্যাংকের বিপক্ষে হৃদয়ের খেলা) বৈধ ধরে নিচ্ছি। এখন আমরা আগের নিয়মকে বলবৎ করব। সেই অনুযায়ী পরবর্তী ম্যাচে (গাজী গ্রুপের বিপক্ষে) তাওহিদ হৃদয় খেলার সুযোগ পাবে না।
গত ১২ এপ্রিল মাঠের আম্পায়ারের সাথে বাজে আচরণ করেন মোহামেডান অধিনায়ক হৃদয়। যে ঘটনায় চার ডিমেরিটসহ এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হন তিনি। কিন্তু এরপর সংবাদ মাধ্যমে আরও বাজে মন্তব্য করেন আম্পায়ারদের নিয়ে। এবার দুই অপরাধ মিলে ৭ ডিমেরিট পয়েন্ট, অর্থাৎ দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন এই ব্যাটার। পাশাপাশি ৮০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
সাজা অনুসারে সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকার কথা ছিলো। কিন্তু এক ম্যাচ পরই তাকে দেখা যায় মাঠে। এ নিয়ে বিতর্কের কমতি ছিলো না।
জানা গেছে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটি বিশেষ বিবেচনায় সাজা কমিয়েছে, নিয়ম বদলেছে টুর্নামেন্টের বাইলজেরও। এই যখন পরিস্থিতি তখন বিসিবির আম্পায়ারিং থেকে পদত্যাগ করেন শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত, তারও আগে পদত্যাগ করেন টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য ম্যাচ রেফারি এনামুল হক মনি।
এসব ঘটনায় নড়েচড়ে বসে বিসিবি। সাজা কমানো কিংবা বাড়ানো অথবা বাইলজের পরিবর্তন, কোনো কিছুতেই যে বিসিবির এখতিয়ার নেই সেটাও স্বীকার করছে তারা। পাশাপাশি ভাল রাখা হচ্ছে হৃদয়ের সাজা, ২৬ এপ্রিল হাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচটা মিস করবেন এই মোহামেডান ক্রিকেটার।