আইপিএলে আবারও ফিক্সিংয়ের অভিযোগ, সন্দেহের তীর লখনৌ সুপার জায়ান্টস ও রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচের দিকে। স্পট ফিক্সিংয়ের গুরুতর এই অভিযোগ তুলেছেন রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও ভারতীয় রাজনীতিবিদ জয়দীপ বিহানি।
ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের আইডিয়া বদলে দিয়েছে ক্রিকেটের খোলনলচে। অর্থ-বিত্ত, বিনোদন, অডিয়েন্স এংগেজমেন্ট, চাকচিক্য; অনেক ইতিবাচক দিকই রয়েছে। তবে, আলোর নিচে রয়েছে আঁধারও। ক্রিকেটকে কলুষিত করতে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরগুলোকে সবচেয়ে বেশি টার্গেট করেন অসাধু ব্যক্তিরা। আর সেখানে সবচেয়ে জৌলুশপূর্ণ হাজার কোটি রুপির আইপিএল জুয়াড়িদের কাছে হটকেক।
যদিও আইপিএলের ফিক্সিংয়ের খবর খুব একটা প্রকাশ পায় না। তবে ঠিকই থাকে সন্দেহ জাগানিয়া কর্মকাণ্ড। এবার সন্দেহের তীর রাজস্থান রয়্যালস ও লখনৌ সুপার জায়ান্টসের ম্যাচের দিকে। গেল ১৯ এপ্রিল জয়পুরে লখনৌয়ের দেয়া ১৮১ রানের টার্গেটে বেশ স্বাচ্ছন্দেই খেলছিলো রাজস্থান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিলো ৯ রান। হাতে ছিলো ৬ উইকেট। মডার্ন ক্রিকেটে যা মামুলি।
তবে, আবেশ খানের ওই ওভার থেকে মাত্র ৬ রান নিতে সক্ষম হয় রয়্যালস। বাউন্ডারি তো দূরে থাক, ২ রান নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শিমরন হেটমায়ার। এরপর ধ্রুব জুরেল আর শুভাম দুবেরাও পারেননি দলকে জেতাতে। লখনৌয়ের কাছে রাজস্থান হেরে যায় ২ রানে। অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ জিতিয়ে হিরো বনে যান আবেশ। তবে, ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না সুপার জায়ান্টস পেসার। ঐ ম্যাচ বিশেষ করে লাস্ট ওভার নিয়ে সন্দেহের শেষ নেই। উঠেছে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ।
জয়দীপ বিহানির দাবি, ওই ম্যাচের শেষ ওভার দেখলে নাকি একজন শিশুরও বোঝার কথা ফিক্সিং হয়েছে। শ্রী গঙ্গানগরের এমএলএর এমন বক্তব্যে দেশটির গণমাধ্যমে তোলপাড়। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং অবাঞ্ছিত বিতর্ক তৈরির জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমনটা বলে থাকতে পারেন বিহানি। রাজস্থান রয়্যালস এমনকি বিসিসিআইয়ের জন্যও এটা মানহানিকর। এখন দেখার বিষয়, গুরুতর এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কী পদক্ষেপ নেয় রজার বিনির বোর্ড।