স্পোর্টস ডেস্ক ; বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক সময়ের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। তিনি খেলোয়াড়ি জীবনে মাঠ এবং মাঠের বাইরে নানা ঘটনার জম্ম দিয়ে বহুবার বিতার্কত হঢেছেন। শেয়ার বাজার,জুয়া,সোনা পাচার,ব্যবসা ও ক্রিকেট সংক্রান্ত বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ আগেও ছিল তার বিরুদ্ধে এমনকি নির্বাচনী হলফনামায় সম্পত্তি গোপনের অভিযোগও উঠেছিল। এবার এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে গুরুতর অর্থ পাচারের অভিযোগ। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
দুদকের পক্ষ থেকে সাকিবের বিরুদ্ধে আসা অর্থ পাচার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে,একই সময়ে দুদক মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে একটি বড়সড় অভিযান চালিয়েছে। বিগত তিন বছরে সরকারের ‘চেতনা বাস্তবায়ন’ সম্পর্কিত প্রায় দুশো কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে সংস্থাটি। দুদকের অভিযানে এসব প্রকল্পে নানা অসঙ্গতির প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে যে,এই প্রকল্পগুলোতে লোক দেখানো সভা-সেমিনারের ছবি তুলে,নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের নামে অথবা তেমন পরিচিত নয় এমন ব্যক্তিদের দিয়ে সিনেমা বানিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,গবেষণা সংক্রান্ত টেন্ডারে অনিয়ম এবং বেশ কিছু প্রকল্পের অযৌক্তিকতা ও অন্যান্য অসঙ্গতি তাদের নজরে এসেছে। এসব বিষয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দুদক আরও জানিয়েছে,ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে পাওয়া অসঙ্গতিগুলোর কারণে বিগত সরকারের সময় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রহণ করা সকল প্রকল্পই সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। দুটি ঘটনাই বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তাধীন রয়েছে।