স্পোর্টস ডেস্ক ; সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে জিম্বাবুয়ের চার উইকেট নিয়ে লড়াইয়ে ফেরার আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দিন শেষে এখনো সফরকারীদের চেয়ে ২৫ রানে পিছিয়ে টাইগাররা।
প্রথম ইনিংসে নিজেরা ১৯১ রানে অলআউট হওয়ার পর জিম্বাবুয়েকে ২৭৩ রানে থামায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ৮২ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
অথচ নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই সাদমান ইসলামের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ১০ বলে ৪ রান করে ফিরেছেন টাইগার ওপেনার। আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় পেয়েছেন ভাগ্যের ছোঁয়া। নিয়াসা মায়াভোর পর বেন কারান করেছেন তার ক্যাচ মিস। দিন শেষে ৪২ বলে ২৮ রানে অপরাজিত জয়। মুমিনুল হকের সংগ্রহ অপরাজিত ১৫ রান। - ডেইলি ক্রিকেট
এর আগে বিনা উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সকালে হয়েছে বৃষ্টি। সেটা কাজে লাগিয়ে নতুন বলে বেশ সুইং আদায় করে নিয়েছেন হাসান মাহমুদ-নাহিদ রানারা। তাদের পেস ও সুইং সামাল দিতে বেশ বেগ পেয়েছেন গতকাল অপরাজিত থাকা দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান। গতকাল ১৭ রানে অপরাজিত থাকা কারান এদিন যোগ করতে পেরেছেন মাত্র ১ রান। নাহিদ রানার বলে মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
তবে ঠিকই ফিফটি তুলে নিয়েছেন বেনেট। তাকেও ফিরিয়েছেন নাহিদ রানা। উইকেটের পেছনে জাকের আলী অনিকের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে বেনেটের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৭ রান।
নেক ওয়েলস পারেননি তেমন কিছু করতে। ক্রেগ আরভিন চেষ্টা করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। নাহিদ রানার বল ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আবেদন করলেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ।
তবে দ্বিতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। ফিফটি তুলে নেন উইলিয়ামস। ১০৮ বলে ৫৯ রান করে ফেরেন অভিজ্ঞ এ ব্যাটার। তখন মনে হচ্ছিল, দ্রুত সফরকারীদের অলআউট করে দেবে বাংলাদেশ। তবে ঘটেছে তার উল্টো, নিয়াসা মায়াভো ও ওয়েসলি মাধেভেরের দারুণ ব্যাটিংয়ে লিড নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ৩৩ বলে ২৪ রান করে ফিরেছেন মাধেভেরে। মায়াভোর ব্যাট থেকে এসেছে ৫৪ বলে ৩৪ রান।
শেষের দিকে রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজরাবানির জুটিতে ওঠে ৩৮ বলে ৩৬ রান। তাতে লিডটা একটু বাড়িয়ে নেয় জিম্বাবুয়ে। ১৬ বলে ১৭ রান করা মুজরাবানিকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। এনগারাভার ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ৫টি উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।