স্পোর্টস ডেস্ক: লড়াই হয়েছে হাড্ডহাড্ডি, তবুও মুম্বাইয়ের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হাই-স্কোরিং থ্রিলারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে ১২ রানে হেরেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। বিরাট কোহলি এবং রজত পাটিদারের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ভর করে বেঙ্গালুরু প্রথমে ব্যাট করে ২২১ রানের বিশাল স্কোর গড়ে। জবাবে তিলক ভার্মা ও অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার লড়াই সত্ত্বেও মুম্বাইয়ের ইনিংস থামে ২০৯ রানে। এই জয়ে বেঙ্গালুরু পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে, অন্যদিকে টানা ব্যর্থতায় মুম্বাই রয়েছে অষ্টম স্থানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফিল সল্টকে হারালেও বিরাট কোহলি ও দেবদূত পাড়িক্কালের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বেঙ্গালুরু। কোহলি মাঠে নামার সময় ওয়াংখেড়ের দর্শকরা 'কোহলি, কোহলি' রবে গর্জে ওঠে, যার আওয়াজ ১৩৮ ডেসিবল রেকর্ড করা হয়। কোহলি ৪২ বলে ৬৭ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন, যার মধ্যে ছিল দেবদূতের (২২ বলে ৩৭) সঙ্গে ৯১ রানের এবং রজত পাতিদারের সঙ্গে ৩১ বলে ৪৮ রানের জুটি।
কোহলি আউট হওয়ার পর রজত পাতিদার ৩২ বলে ৬৪ রানের এক বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। শেষদিকে জীতেশ শর্মার ১৯ বলে অপরাজিত ৪০ রানের ক্যামিওতে বেঙ্গালুরুর স্কোর ২০০ ছাড়িয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর চোট সারিয়ে ফেরা মুম্বাইয়ের তারকা পেসার যশপ্রীত বুমরা ৪ ওভারে ২৯ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি। তবে মুম্বাইয়ের বাকি বোলাররা ছিলেন বেশ খরুচে।
২২২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মুম্বাইয়ের শুরুটা ভালো হয়নি। দলের তারকা ওপেনার রোহিত শর্মা মাত্র ১৭ রানে যশ দয়ালের শিকার হন। চলতি আইপিএলে এটিই তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। তবে তিলক ভার্মা ২৯ বলে ৫৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান। সূর্যকুমার যাদব (২৮) এবং অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া (১৫ বলে ৪২) চেষ্টা করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান, হাতে ছিল ৪ উইকেট। কিন্তু ক্রুনাল পান্ডিয়ার করা ওভারে মাত্র ৬ রান তুলতে গিয়ে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২০৯ রানেই থেমে যায় মুম্বাইয়ের ইনিংস।ওয়াংখেড়েতে এই জয় বেঙ্গালুরুর জন্য গত ১০ বছরে প্রথম।
এই জয়ে বেঙ্গালুরু চলতি আইপিএলে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলা তিন ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে, কিন্তু হেরেছে নিজেদের ঘরের মাঠের একমাত্র ম্যাচটিতে।