স্পোর্টস ডেস্ক : শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের ১৫ হাজার তো বটেই, গোটা ভারতের কোটি ফুটবলপ্রেমীর চোখ ছিলো এ ম্যাচে। যে ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগে হম্বিতম্বি, বাংলাদেশ দল নিয়ে তাচ্ছিল্য আর ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকার দম্ভ সবই দেখিয়েছে ভারতীয় বিশ্লেষকরা। কিন্তু, বাস্তবতা ছিলো ভিন্ন।
নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের সামনে একরকম আত্মসমর্পণই করেছিলো ভারত ফুটবল দল। জনি-ইমনরা সহজ সুযোগগুলো হেলায় না হারালে এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচে বেঙ্গল টাইগার্সের কাছে লজ্জাই পেতে হতো ইন্ডিয়ানদের।
শেষ পর্যন্ত হাফ ছেড়েই বেঁচেছে সুনীল ছেত্রীর দল। ২-০ বা ৩-০ ব্যবধানে হারের চেয়ে গোলশূন্য ড্র তো মান বাঁচানো ফলাফল। কিন্তু, জনসংখ্যা-আয়তন-বাজেট-স্ট্রাকচার-শক্তিমত্তা সবকিছুতে যোজন যোজন এগিয়ে থেকেও তুলনামূলক ছোট প্রতিবেশির কাছে এমন নাস্তানাবুদ হওয়া মানতেই পারছে না ভারতীয়রা। আঁতে চরম এক ঘা লেগেছে তাদের। সময়নিউজ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা টের পাওয়া যায় স্পষ্ট। দেশটির ক্রীড়া সাংবাদিক, বিশ্লেষক থেকে ফ্যান সবাই ধুয়ে দিচ্ছে ইন্ডিয়া টিমকে। কোচ মানোলো মার্কুয়েজের কৌশল, সামর্থ্য নিয়েও তুলছে প্রশ্ন। তবে, বাংলাদেশ দল নিয়ে এখনও কেনো যেনো প্রশংসা করতে পারছে না তারা। এক হামজা দেওয়ান চৌধুরী ছাড়া কাউকেই গোনায় ধরছে না যেনো।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে। তাকে ইগ্নোর করার সুযোগ নেই। কিন্তু, সার্বিকভাবে বাংলাদেশ দলের উন্নতি নিয়ে কথা বলতে এখনও কার্পণ্য ভারতীয়দের। ব্যাপারটা এমন যে, কেবল নিজেদের ভুলেই জিততে পারেনি তারা। বাংলাদেশের খুব একটা ক্রেডিট নেই।ওসব নিয়ে অবশ্য ভাবছে না বাংলাদেশ। স্পোর্টসসহ নানা ক্ষেত্রে ভারতের বঞ্চনার শিকার দেশের মানুষের মাঝে ভারতকে নিয়ে তিক্ততা এখন চরমে। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে তাদের মাটিতে হামজাদের দাপুটে পারফরম্যান্স তাই আলাদা এক প্রশান্তি এনে দিয়েছে এদেশের মানুষের মনে।