স্পোর্টস ডেস্ক : গত ১৩ জানুয়ারি পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দশম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানেই এক ঝাঁক বাংলাদেশি ক্রিকেটার দল পেয়েছিলেন। গতির ঝড় তুলে আলোচনায় আসা নাহিদ রানাকে গোল্ড ক্যাটাগরি থেকে দলে ভিড়িয়েছিল পেশোয়ার জালমি। সিলভার ক্যাটাগরিতে থাকা লিটনকে দলে নেয় করাচি কিংস।
আর একই ক্যাটাগরি থেকে রিশাদ হোসেনকে দলে নিয়েছে লাহোর কালান্দার্স। এর মধ্যে নাহিদ ও লিটনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। পিএসএল চলাকালীন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এই দুই ক্রিকেটারই ব্যস্ত থাকবে জাতীয় দলের হয়ে। ফলে এই ক্রিকেটারদের বিকল্প খুঁজতে হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। ক্রিকফ্রেঞ্জি
নাহিদ-লিটন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিকল্প খুঁজবে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। এর মধ্যে আছেন করবিন বশ। তিনি আইপিএলে সুযোগ পাওয়ায় খেলা হচ্ছে না পিএসএলে। তার পেশোয়ারের হয়ে পিএসএলে খেলার কথা ছিল। এ ছাড়া সাউথ আফ্রিকার রাসি ফর ডার ডাসেনের বিকল্প খুঁজতে হবে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে।
পিএসএলের পুরো আসরে খেলতে পারবেন না কেন উইলিয়ামসন ও মার্ক চ্যাপম্যানও। দুজনের খেলার কথা যথাক্রমে করাচি কিংস ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে। তাদের বিকল্প খুজতেই আজ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে পিএসএলের রিপ্লেসমেন্ট ড্রাফট।
এই ড্রাফট অবশ্য সশরীর নয়, ড্রাফট হবে অনলাইনে। নাহিদ-লিটন ও রিশাদ এখনও বিসিবির কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র পাননি। ধারণা করা হচ্ছে এর মধ্যে রিশাদ শুধু পুরো পিএসএলে খেলার অনুমতি পাচ্ছেন। আর জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর পিএসএলে খেলতে পারবে নাহিদ লিটন।
এমনিতেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ পান না খুব বেশি। পেলেও বিসিবি তালবাহানা করে এনওসি নিয়ে। এ কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের দলগুলো। এবারের পিএসএল শুরু হবে ১১ এপ্রিল।
একই দিনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করার কথা বাংলাদেশ দলের। এরই মধ্যে জিম্বাবুয়ে সিরিজের সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০ এপ্রিল সিলেটে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২৮ এপ্রিল। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে দল ঢাকায় পা রাখবে ১৫ এপ্রিল।