বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসা বিভাগের প্রধান দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, তামিমের দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
বর্তমানে তিনি সিসিইউতে আছেন। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ দুপুরে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে আজ সকালে সাভারের বিকেএসপিতে যান তামিম। সকালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব-শাইনপুকুর ম্যাচের টসেও অংশ নেন।
তবে ফিল্ডিংয়ে নামার আগে বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তাঁকে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মোহামেডান-শাইনপুকুর ম্যাচের রেফারি দেবব্রত পাল হাসপাতাল থেকে জানান, তামিমের অ্যানজিওগ্রাম করিয়ে হার্টে ব্লক পাওয়া গেছে।
তামিমকে ঢাকায় আনতে বিকেএসপিতে একটি হেলিকপ্টার নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তাতে ওঠানো যায়নি। এরপর ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালেই রিং পরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
মোহামেডানের ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ জানিয়েছেন, ‘আমরা তাঁর জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায় আছি। একটু স্থিতিশীল অবস্থা হলে পরবর্তী চিন্তা করব।’
তামিমের হার্টে ব্লক ধরা পরা ও রিং পরানোর খবর জানিয়ে তাঁর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দিয়েছেন অ্যাডমিন।
হাসপাতালে তামিমের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা, বড় ভাই নাফীস ইকবালসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত আছেন।
তামিমকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও। এর আগে তামিমের অসুস্থতার খবরে ১৯তম বোর্ড সভা স্থগিত করে বিসিবি।
এদিকে তামিমের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মোহামেডানের কর্মকর্তারা তামিমের সঙ্গেই আছেন। তামিম অসুস্থ হওয়ায় কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল।
সবশেষ তামিম ইকাবলের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজের পোস্ট থেকে জানাগেল,
সকালে টসের পর হালকা বুকে ব্যথা অনুভব করলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় বিষয়টি দ্রুত দলের ফিজিও ও ট্রেইনারকে জানান। প্রাথমিকভাবে গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা মনে হওয়ায় তিনি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ গ্রহণ করেন। তবে কিছুক্ষণ পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সতর্কতার অংশ হিসেবে নিকটতম হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসা শেষে তিনি বিকেএসপিতে ফিরে আসেন।
এরপর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়। দলের (মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব) ম্যানেজার শিপন ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা সম্ভব হয়। তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়লে তাকে ফের নিকটতম কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে নেওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হয় এবং রিং পরানো হয়। বর্তমানে তিনি কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে (CCU) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
তার সুস্থতার জন্য সবার দোয়া কামনা করা হচ্ছে, যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন।