স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দেখানো পথেই এখন হাঁটতে চায় অল-ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। বিদেশে বেড়ে ওঠা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের দলে ভেড়াতে চায় দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। আর এ ব্যাপারে একটি নীতিকাঠামোও তৈরি করেছে ভারতের ফুটবল ফেডারেশন।
ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, স্ট্রাইকারের অভাব পূরণ করতে দেশের বাইরে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের দলে ভেড়ানোর চিন্তা করছে এআইএফএফ। এ বিষয়ে এআইএফএফের সভাপতি কল্যাণ চৌবে পিটিআইকে বলেন, ‘আমরা একটি নীতিকাঠামো প্রস্তুত করছি, যার আওতায় বিদেশে অবস্থানরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের দলে নেওয়া যাবে। অনেক দেশ এরই মধ্যে এমন নীতিমালায় কাজ করছে। সময়নিউজ
গত বছরের মাঝামাঝিতে আন্তুর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন সুনীল ছেত্রী। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে অবসর ভেঙে আবারও জাতীয় দলে ফেরেন এই স্ট্রাইকার। ভারতে ভালো মানের স্ট্রাইকার না থাকায় ছেত্রীকে অবসর থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে চৌবে বলেছেন, ‘এখন আমরা সুনীলের মতো এক জনের ওপর নির্ভরশীল। প্রশ্ন হচ্ছে, এরপর কে? ভারতীয় স্ট্রাইকার তৈরির লম্বা পরিকল্পনা করা দরকার, বিশেষ করে ৯ ও ১০ নম্বর খেলোয়াড়। এখন বেশির ভাগ ক্লাব এ জায়গাগুলোয় বিদেশি স্ট্রাইকার খেলায়। যেটা ভারতীয় ফরোয়ার্ড তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
ফিফার নীতিমালা অনুযায়ী, একজন ফুটবলার যে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন সে দেশের নাগরিকত্ব থাকতে হবে। যেখানে নাম, জন্ম তারিখ, জন্মস্থান, জাতীয়তা এসব বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। ইংল্যান্ড, ফ্রান্সের মতো দেশগুলো দ্বৈত নাগরিকত্বের খেলোয়াড় অনুমোদন করে। মানে জন্মসূত্রে নাগরিক না হলেও দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রদানের মাধ্যমে একজন ফুটবলারকে জাতীয় দলে খেলানো যায়।
হামজা চৌধুরীও দ্বৈত নাগরিকত্বের মাধ্যমেই বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েছেন। তার জন্ম যুক্তরাজ্যের লেস্টারে, হামজা সে দেশের নাগরিক হলেও তার মা রাফিয়া চৌধুরীর সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন এই ফুটবলার।
এদিকে ভারতে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করা হয় না। সে কারণে বিদেশে বেড়ে ওঠা ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাউকে খেলতে হলে আগের নাগরিকত্ব ছাড়তে হয়। এর আগে ২০১২ সালে ভারতের হয়ে খেলতে জাপানের পাসপোর্ট বাদ দিয়েছিলেন ইসুজিম আরাতা।