শিরোনাম
◈ মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে মার্কিন শুল্ক থাকলে  ◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত : ১৭ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০৭ বিকাল
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতকে হারানোর প্রত্যয় হামজা চৌধুরীর কণ্ঠে

স্পোর্টস ডেস্ক : ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটে ফ্লাইট পৌনে এগারোটায় অবতরণের পর থেকেই ভিন্ন আবহ বিমানবন্দরে। বাফুফে হামজার জন্য ভিআইপির ব্যবস্থা রেখেছে। সিলেট বিমানবন্দরে হামজাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশ বিমানের স্টেশন ম্যানেজার শাকিল আহমেদ। বিমানবন্দরের মধ্যেই দায়িত্বরত অনেকেই হামজা ও তার পরিবারের সঙ্গে ছবি তোলেন। ভিআইপি এরিয়ার মধ্যেও বেশ জমায়েত হয়েছিল। ভিআইপি গেটের বাইরে গণমাধ্যমকর্মীরা অপেক্ষা করছিলেন। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে গণমাধ্যমের সামনে হামজাকে নিয়ে আসতে বাফুফের ঘণ্টা খানেক সময় লেগেছে। 

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত সকল গণমাধ্যমের প্রতিনিধিই সিলেট বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। গণমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে কাজ করা অনেকেও ছিলেন। ফলে হামজার মিডিয়া সেশন পরিচালনা করতে বাফুফে সদস্যদের বেশ গলদঘর্ম হয়েছে। রোববার (১৬ মার্চ) ম্যাচ খেলে ৯ ঘণ্টা বিমানে ভ্রমণের পরও তাকে নিয়ে সাধারণ মানুষ ও গণমাধ্যমের এমন উন্মাদনা বেশ অভিভূত করেছে। তাই তিনি প্রথম প্রতিক্রিয়াতেই বলেছেন,‘এমিজিং, এমিজিং। দীর্ঘদিন (১১ বছর) পর এখানে আসতে পেরে আমি এক্সাইটেড।’ 

হামজার প্রথম মিশন ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই। এই ম্যাচকে তিনি ডার্বি আখ্যায়িত করে বলেন,‘ইন আল্লাহ আমরা ডার্বি জেতার আশা রাখি এবং জিতে আমরা উন্নতি করতে চাই।

হামজা ইংল্যান্ডে জন্ম ও বেড়ে উঠে হলেও তার বাবা-মা বাংলাদেশি। ইংল্যান্ডেও বাঙালি আবহে বেড়ে উঠেছেন। সিলেটি অঞ্চলের কথা বলতে পারেন। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে যাওয়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলারের কাছে বাংলায় প্রত্যাশা জানতে চাওয়ার প্রশ্নটি ইংরেজিতে করা হলে তিনি প্রথমে বুঝেননি,‘আমি বুঝছি না , বুঝছি না’। 
এরপর পুরোপুরি বাংলায় প্রশ্ন হওয়ার পর হামজা সিলেটি ভাষায় বেশ সুন্দরভাবে বলেন,‘ইন শা আল্লাহ আমরা উইন করমু। আমরার বিগ ড্রেম আছে, আমি কোচ হ্যাভিয়েরের সঙ্গে মাতসি (কথা বলেছি)। ইনশাআল্লাহ আমরা উইন করে প্রোগ্রেস করতে পারমু।

বাফুফে কর্তারা গণমাধ্যম সামলাতে পারছিলেন না। দ্রুত মিডিয়া সেশন শেষ করে হামজাকে ভেতরে নিয়ে যেতে চান। শুরুর প্রশ্নই আবার শেষে করা হয়-বাংলাদেশে এসে এত উন্মাদনা-ভালোবাসা কেমন লাগছে? এর উত্তরে হামজা বলেন,‘আমার হৃদয় পূর্ণ’। এই মন্তব্যের পরপরই হামজাকে বাফুফে কর্তারা ভেতরে নেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়