চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। তবে শিরোপার লড়াইয়ে খেলার আগেই দুঃসংবাদ পেলেন তাঁরা। ফাইনাল ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন দলের সেরা পেসার ম্যাট হেনরি। তাঁর জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন আরেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার নাথান স্মিথ। নাথান নিউজিল্যান্ডের হয়ে এরই মধ্যে সাতটি ওয়ানডে খেলেছেন।
দুবাইয়ের স্পিন সহায়ক কন্ডিশনে নিজেদের সব ম্যাচই খেলেছে ভারত। নিউজিল্যান্ড গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তানের করাচিতে। সেখান থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে যায় রাওয়ালপিন্ডিতে। তারপর ভারতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে তাদের যেতে হয় দুবাই।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম সেমিফাইনাল খেলতে দুবাই থেকে নিউজিল্যান্ড আসে লাহোরে। লাহোরের পর ফাইনাল খেলতে আবার দুবাইয়ে গেছেন উইলিয়ামসনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম অনেকটা ভারতের নিজের ডেরা হয়ে গেছে। এদিক থেকে কিছুটা এগিয়ে ভারত। তবে নিউজিল্যান্ডও দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ দল। হালকাভাবে নেওয়ার প্রশ্নই নেই তাদের। এর মধ্যেও কিছুটা দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিলেন টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ম্যাট হেনরি।
সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়েছিলেন হেনরি। তিনি ছাড়া নিউজিল্যান্ডের একাদশে আর কোনো পরিবর্তন নেই। তিন পেসার বোলিং আক্রমণ—কাইল জেমিসন, নাথান স্মিথও উইলিয়াম ও’রুর্কি। ঘূর্ণি জাদু দেখাতে অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের সঙ্গে আছেন গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল ব্রেসওয়েল ও রাচিন রবীন্দ্র।
তবে একাদশে পরিবর্তন নেই ভারতের। সেমিফাইনালের একাদশ নিয়েই খেলছে ফাইনাল। একাদশে চার স্পিনারের সঙ্গে আছেন দুই পেসার মোহাম্মদ শামি ও হার্দিক পান্ডিয়া। স্পিন আক্রমণে আছেন রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ জাদব, অক্ষর প্যাটেল এবং গ্রুপ পর্ব কিউইদের ও সেমিতে অজিদের ভেলকি দেখানো বরুণ চক্রবর্তী।
ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, অক্ষর প্যাটেল, লোকেশ রাহুল (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, মোহম্মদ শামি ও বরুণ চক্রবর্তী।
নিউজিল্যান্ডের একাদশ: উইল ইয়ং, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন, ড্যারিল মিচেল, টম লাথাম (উইকেটরক্ষক), গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্যান্টনার, কাইল জেমিসন, নাথান স্মিথ ও উইলিয়াম ও’রুর্কি।