স্পোর্টস ডেস্ক : চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আজ পর্দা নামবে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের শিরোপা লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। প্রায় আট বছর মাঠে গড়ানো এবারের টুর্নামেন্টে বেশ আগেই হয়েছে এক আসরে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড। ফাইনালের আগে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন কারা। আট দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এখন পর্যন্ত মোট সেঞ্চুরি হয়েছে ১৪টি। এর আগে এক আসরে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল ১০টি, ২০০২ ও ২০১৭ সালের আসরে। অলআউট স্পোর্টস
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত দুটি শতক হাঁকিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র। ৩ ম্যাচে বাঁহাতি এই ব্যাটার রান করেছেন ২২৬। তবে রান-সংগ্রাহকের তালিকায় তিনি আছেন দ্বিতীয় স্থানে। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া ইংল্যান্ডের ওপেনার বেন ডাকেট। ৩ ম্যাচে বাঁহাতি এই ব্যাটার এক সেঞ্চুরিতে ২২৭ রান করেছেন।
তালিকার তিনে আছেন ইংল্যান্ডের জো রুট। এক সেঞ্চুরিতে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের রান ২২৫। তার পরের অবস্থানে আছেন বিরাট কোহলি। ভারতকে ফাইনালে তুলতে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই তারকা ব্যাটার একটি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরিতে করেছেন ২১৭ রান।
পাঁচ নম্বরে আছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলা ইবরাহিম জাদরান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৭ রানের ইনিংস খেলা আফগানিস্তানের তরুণ এই ওপেনার ৩ ম্যাচে ২১৬ রান করেছেন।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র সেঞ্চুরিটি হাঁকানো তাওহিদ হৃদয় আসর শেষ করেন ১০৭ রান নিয়ে। দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেন জাকের আলী। দুই ম্যাচ ডানহাতি এই ব্যাটারের রান ১১৩।
বল হাতে এবারের টুর্নামেন্টে আগুন ঝরিয়েছেন পেসাররা। ৪ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে উইকেট শিকারির তালিকার শীর্ষে আছেন ম্যাট হেনরি। নিউ জিল্যান্ডের এই পেসার দুবাইয়ের স্পিন সহায়ক উইকেটেও ভারতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নেন ৫ উইকেট।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি ৪ ম্যাচে শিকার করেছেন ৮ উইকেট। তৃতীয় স্থানে আছেন ২ ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়া বরুণ চক্রবর্তী। ভারতের এই রহস্য স্পিনার টুর্নামেন্টে নিজের অভিষেক ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেট শিকার করেন।
তার সমান ৭টি করে উইকেট আছে এক নম্বর ওয়ানডে অলরাউন্ডার আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ ওমরজাই, অস্ট্রেলিয়ার বেন ডোয়ার্শিস ও কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেন। তাসকিন আহমেদ-মুস্তফিজুর রহমানরা আলো ছড়ালেও ২টি করে উইকেটের বেশি শিকার করতে পারেননি।