স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তানের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী দলগুলো খেলায় অংশ নিচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেবল ভারত। পাকিস্তানে গিয়ে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে রাজি না হওয়ায় তারা তাদের সব ম্যাচই খেলছে কেবল একটি ভেন্যুতে। এমনকি রোহিত শর্মার দল ফাইনালে উঠলেও খেলবে সেই মাঠেই। আর তাদের পাওয়া এই বাড়তি সুবিধাকে বোঝার জন্য ‘রকেট বিজ্ঞানী’ হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার রাসি ফন ডার ডুসেন।
বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে দুবাইয়ে ভারত বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে কি না, প্রসঙ্গে ডুসেন বলেন, এটি অবশ্যই একটি সুবিধা। পাকিস্তান এ বিষয়ে কথা বলছিল। তবে এটি সত্যিই একটি বড় সুবিধা। যদি আপনি একই জায়গায় থাকতে পারেন, একই হোটেলে থাকতে পারেন, একই সুবিধায় অনুশীলন করতে পারেন, একই স্টেডিয়ামে, একই ধরনের পিচে বারবার খেলতে পারেন, তবে এটি অবশ্যই বাড়তি সুবিধা দেয়।
এটি বোঝার জন্য রকেট বিজ্ঞানী হওয়ার দরকার নেই। তবে এই সুবিধা কাজে লাগানোর দায়িত্ব তাদেরই। এক দিক থেকে এটি তাদের জন্য চাপও তৈরি করবে, কারণ সেমিফাইনাল বা ফাইনালে যারা তাদের বিপক্ষে খেলবে, তাদের জন্য কন্ডিশন সম্পূর্ণ নতুন হবে। কিন্তু ভারত সেখানে অভ্যস্ত থাকবে। তাদের কাছে এই বাড়তি সুবিধা থাকলেও, চূড়ান্ত মুহূর্তে সেটিকে কাজে লাগানোর চাপও তাদের ওপরই থাকবে।
এর আগে দুবাইয়ে ভারতের সব ম্যাচ হওয়ায় তাদের বাড়তি সুবিধা পাওয়া নিয়ে মুখ খুলেছিলেন পাকিস্তানের হেড কোচ আকিব জাভেদ, ইংল্যান্ডের সাবেক দুই অধিনায়ক মাইকেল অ্যাথারটন ও নাসের হুসেন এবং অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হয়েও গত সপ্তাহে দুবাইয়ে গিয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলতে হয় পাকিস্তানকে। সেই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট প্রায় শেষ হয়ে যায় তাদের। এরপর নিউজিল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ হারলে বিদায় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের।
ভারতের কাছে হারের পর আকিব বলেন, দেখুন, তারা দুবাইতে খেলছে একটি নির্দিষ্ট কারণেই। যদি কোনো নির্দিষ্ট কারণে তারা সেখানে খেলে, তবে অবশ্যই একই মাঠ বা পিচে বারবার খেলার একটা সুবিধা তারা পাবে। আমরা শুধু এই কারণেই হারছি না যে তারা একই হোটেলে ছিল বা একই পিচে খেলেছে।