স্পোর্টস ডেস্ক : ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে। গত সোমবার রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের জয়ের পর রোহিত শর্মার দলের শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত হয়। এর আগে নিজেদের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে জয়ও পায় তারা।
তবে পুরো টুর্নামেন্টে একই ভেন্যুতে খেলার বাড়তি সুবিধা স্বাগতিক না হয়েও ভারত পাচ্ছে বলে মনে করেন ইংল্যান্ডের ধারাভাষ্যকার ও সাবেক দুই অধিনায়ক নাসের হুসেইন ও মাইকেল অ্যাথারটন পাকিস্তানে গিয়ে ভারত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে শুরু হয় এবারের আসর। নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে নিজেদের সব ম্যাচ খেলবে রোহিত-কোহলিরা। ভারত ফাইনাল উঠলে শিরোপা লড়াইও অনুষ্ঠিত হবে দুবাইতেই।
অন্যদিকে টুর্নামেন্টের বাকি দলগুলো খেলছে পাকিস্তানের তিনটি ভেন্যু করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে। এর মধ্যে ভারতের গ্রুপের তিনটি দলকে ম্যাচ খেলার জন্য দুবাইতেও যেতে হচ্ছে।
ভারতের এই সুবিধা নিয়ে নাসেরের সঙ্গে স্কাই স্পোর্টস পডকাস্টে অ্যাথারটন বলেন, ভারত যে শুধু দুবাইতে খেলছে, এটাকে সরাসরি মাপা কঠিন হলেও এটা যে একটি সুবিধা, তা অস্বীকার করা যায় না। তারা এক জায়গায় থেকে যাচ্ছে, কোনো ভ্রমণ করতে হচ্ছে না, যেটা অন্য দলগুলকে করতে হচ্ছে। ফলে তারা দুবাইয়ের কন্ডিশন অনুযায়ী দল সাজাতে পারছে। আমার কাছে এটা অনস্বীকার্য সুবিধা। তবে এটা কত বড় সুবিধা তা পরিমাপ করা বেশ কঠিন।
সাবেক সতীর্থ ও বর্তমানে একসঙ্গে ধারাভাষ্য দেওয়া সঙ্গীর সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন নাসেরও। তার মতে, দুবাইয়ের ধীরগতির উইকেটে খেলতে থাকায় ভারত তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বাড়তি স্পিনার নিয়ে দল সাজাতে পেরেছে, যা টুর্নামেন্টে তাদের জন্য কার্যকর হয়েছে। .
এটি সত্যিই একটি সুবিধা। তাই টুর্নামেন্টের সেরা দল বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। আমি এক টুইটে দেখলাম, ‘পাকিস্তান স্বাগতিক, ভারত ঘরের মাঠের সুবিধা পাচ্ছে।’ এটা পুরো পরিস্থিতি বুঝিয়ে দেয়। তারা এক জায়গায়, এক হোটেলে, কোনো ভ্রমণের ঝামেলা নেই। তাদের একই ড্রেসিং রুম, পরিচিত উইকেট। তারা সেই অনুযায়ী দল সাজিয়েছে, যা তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত প্রমাণিত হয়েছে। দলের সব স্পিনারদের নিয়েছে। আগামী ২ মার্চ গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ভারত।