স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেট বিশ্বের দুই পরাশক্তি ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ মানেই অন্য রকম উত্তেজনা। আর এই উত্তাপ ম্যাচের আগে থেকেই ছড়ায়। এরকম ম্যাচে যখন অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটে, সেটা মেনে নিতে পারে না সমর্থকরা। ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি সুনিল গাভাস্কার রোববার বিরাট কোহলির এক কা- দেখে চটেছেন।
দুবাইয়ে ভারতের ইনিংসের ২১ তম ওভারের ঘটনা। ওভারের পঞ্চম বলে হারিস রউফকে কাভার এবং পয়েন্টের মাঝে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে নন স্ট্রাইকপ্রান্তে পৌঁছান কোহলি। বাবর আজম বলটা ধরতে যাবেন, এই মুহূর্তে কোহলি বাঁ হাত দিয়ে বলটা থামিয়েছেন। কোহলির এমন ঘটনায় পাকিস্তানের কোনো ক্রিকেটার বিন্দুমাত্র আবেদন করেননি। ভারতীয় ব্যাটারের এমন কা- দেখে বেজায় চটেছেন গাভাস্কার বলেন, মিড উইকেট ফিল্ডারকে ডাইভ দিতেই হতো। কিন্তু বল চলমান অবস্থায় তার নাক গলানোর কোনো দরকার ছিল না। সে ভাগ্যবান যে কেউ আবেদন করেনি।
অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ নিয়ে ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবে (এমসিসি) স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। ৩৭.৩ নীতি অনুযায়ী, ‘ব্যাটার তখনই অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ডের জন্য আউট হবেন, যখন তিনি বল চলমান অবস্থায় ফিল্ডারকে বাধা দিচ্ছেন বা তার মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন। কাজ বা মুখের কথা দিয়ে ব্যাটার এমন কিছু করলেই সেটা আউট হবে। এমনকি ব্যাট না ধরা অবস্থায় স্ট্রাইকপ্রান্তে থাকা ব্যাটার বল ধরলেও সেটা আউট বলে বিবেচিত হবে। বলটা ‘নো বল’ না হলেই এই নিয়ম কার্যকর হবে। তবে নিজেকে বাঁচাতে কোনো ব্যাটার যদি বাধা দেন, তাহলে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনায় ব্যাটার আউট হবেন না।
রমিজ রাজা গতকাল গাভাস্কারের সঙ্গেই ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছিলেন। গাভাস্কার যেখানে কোহলির সম্ভাব্য অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট নিয়ে কথা বলেছেন, রমিজ রাজা সেখানে মজা নিয়েছেন। কোহলির এমন কা- দেখে রমিজ মুচকি হেসে বলেন, তার (কোহলি) ম্যাচ সচেতনতা আসলেই অন্যরকম।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ‘এক ঢিলে দুই পাখি’ মেরেছেন কোহলি। ৪৩ তম ওভারের তৃতীয় বলে খুশদিলকে চার মেরে কোহলি ৫১ তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পাশাপাশি ভারতকে ৬ উইকেটের জয় এনে দেন। ১১১ বলে ৭ চারে ১০০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন ভারতীয় এই তারকা ব্যাটার।