স্পোর্টস ডেস্ক : অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে এসেছে আফগানিস্তান। কিন্তু প্রথম ম্যাচে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হালে পানি পেলো না। তাদের নাজেহাল করে ছাড়লো প্রোটিয়ারা। রায়ান রিকেলটনের সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকা বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে। তবে লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট হাতে তেমন সুবিধা করতে পারেনি আফগান ব্যাটাররা। প্রোটিয়া পেস তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে তারা হেরে গেছে ১০৭ রানে।
শুক্রবার করাচিতে বি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আগে রিকেলটনের ১০৩ রানের সঙ্গে টেম্বা বাভুমার ৫৮, রাসি ফর ডার ডুসেনের ৫২ ও এইডেন মারক্রামের অপরাজিত ৫২ রানে ৬ উইকেটে ৩১৫ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৩৯ বল আগে ২০৮ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। - অলআউট স্পোর্টস
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা একদমই ভালো হয়নি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে আসা আফগানদের। চতুর্থ ওভারে ফর্মে থাকা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে ১৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন লুঙ্গি এনগিডি। এরপর আর কোনো ব্যাটারই ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে একে একে আফগান ব্যাটারদের তুলে নিতে থাকেন কাগিসো রাবাদা-ভিয়ান মুল্ডাররা। ৮৯ রানের ভেতর ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে এক প্রকার ছিটকেই যায় তারা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে আফগানদের হয়ে লড়াই চালিয়ে যান রহমত শাহ। কিন্তু তার লড়াই কেবল দলের পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমায়। শেষ ব্যাটার হিসেবে তিনি আউট হন ৯০ রান করে। গতির ঝড় তুলে প্রোটিয়াদের হয়ে ৩ উইকেট নেন রাবাদা। ২টি করে শিকার ধরেন এনগিডি ও মুল্ডার।
এর আগে ম্যাচসেরা রিকেলটন, বাভুমা ও ডুসেনের ব্যাটে মাঝের ৩০ ওভারে ১৮৪ তোলে প্রোটিয়ারা। কিন্তু ক্রিজে থিতু হওয়ার পরও আফগান স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেভাবে হাত খুলে খেলতে পারেননি কেউই। তবে মারক্রামের প্রচেষ্টায় শেষ পাঁচ ওভারে ৫০ রান যোগ হওয়ায় বড় সংগ্রহ পায় তারা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা প্রোটিয়াদের ২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ নবী। দ্বিতীয় উইকেটে বাভুমাকে নিয়ে রিকেলটন বেশ স্বাচ্ছন্দেই রান তুলতে থাকলেও কিছুটা ধীরগতিতেই ব্যাট করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
৬৩ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি করার কিছুক্ষণ পরে সাজঘরে ফেরেন বাভুমা। ১২৯ রানের জুটি ভেঙে দলকে আবার স্বস্তি এনে দেন নবী। তৃতীয় উইকেটে রিকেলটন ও ডুসেন আগের চেয়ে কিছুটা দ্রুত রান গতিতে রান তুললেও হাত খুলে খেলতে পারেননি। এর মাঝে ১০১ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের তিন অঙ্কের ছোঁয়া পান রিকেলটন। তবে খানিকবাদে এই উইকেটকিপার-ব্যাটারকে রানআউট করে ৪৪ রানের জুটি ভাঙেন রশিদ খান।
ডুসেন-মারক্রামের চতুর্থ উইকেট ৪৭ রানের জুটি গড়লেও রানের গতি বাড়েনি। শেষ দিকে ৩২ বলে ৫০ রানের জুটি গড়ে দলকে তিনশ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান মারক্রাম। শেষ ওভারে মুল্ডার একটি করে চার ও ছক্কা মেরে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন।
আপনার মতামত লিখুন :