স্পোর্টস ডেস্ক : রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) শ্রীলঙ্কার গলে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিন মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতির আগেই স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ৯ উইকেটের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। এরই সঙ্গে ২০১১ সালের পর প্রথমবারের মতো লঙ্কানদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় সফরকারীরা।
টেস্টে ঘরের মাঠে নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী পিচ বানিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে ক্রিকেট বিশ্বে। বিশেষ করে উপমহাদেশের ম্যাচগুলোয় দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজগুলোতে স্পিনিং উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করে রাখা যেন নিয়ম হয়েই দাঁড়িয়েছে। - ক্রিকফ্রেঞ্জি
এই যেমন গত বছর সেপ্টেম্বরের ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার পথে বেশ ভালোভাবেই এগুতে শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। সেই সিরিজে স্বাগতিক স্পিনারদের কাছে কিউইদের রীতিমত নাস্তানাবুদ হতে হয়। প্রতিপক্ষের ৪০ উইকেটের মাত্র ২টি নেয় পেসাররা। প্রথম টেস্ট ৬৩ রানে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচ লঙ্কানরা জিতে নেয় ইনিংস ও ১৫৪ রানে।
তবে শেষ পর্যন্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আর ওঠা হয়নি শ্রীলঙ্কার। কিন্তু ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৬ সাল থেকে টেস্ট সিরিজ না হারা দলটি স্পিন সহায়ক পিচেই দুটো ম্যাচ খেলে। তবে এবার ভাগ্য যেন তাদের সহায় হয়নি। উল্টো লায়ন-কুনেমান স্পিন জুটির ঘূর্ণিতেই কুপোকাত লঙ্কানরা। অন্যদিকে দুই টেস্টে তিন ইনিংস মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কেবল ১৭টি উইকেট নিতে পারে স্বাগতিক বোলাররা।
সিরিজ জয়ের পথে লঙ্কান স্পিনারদের বিপক্ষে স্মিথ ও উসমান খাজাসহ অন্য ব্যাটারদের দাপুটে ব্যাটিংয়ে অনেকটাই এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়াকে। সিরিজে সফরকারী ব্যাটারদের চার সেঞ্চুরি ও এক দ্বিশতকের বিপরীতে একটি সেঞ্চুরিও হাঁকাতে পারেনি স্বাগতিকরা। সব মিলিয়ে ব্যাট বলের দাপুটে লড়াইয়ে লঙ্কানদের হোয়াইটওয়াশড করে স্মিথের দল।
সিরিজ শেষে লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা জানান, এখন থেকে ঘরের মাঠে নিজেদের সুবিধা মতো স্পিনিং পিচ বানিয়ে খেলার ব্যাপারে ভাবার সময় এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :