নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনার স্বপ্ন ভেঙে বিপিএলের ফাইনালে ফরচুন বরিশালের প্রতিদ্বন্দ্বী হলো চিটাগং কিংস। শুক্রবার চূড়ান্ত লড়াই হবে দুই দলের। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কোয়ালিফায়ার ম্যাচে শেষ ওভারে চিটাগং কিংসের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। উইকেটে আরাফাত সানি ও আলিস আল ইসলাম। খুলনা টাইগার্সের পেসার মুশফিক হাসানের প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন সানি।
এরপরই নাটকীয়তা শুরু। পায়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন আলিস। ব্যাটিংয়ে নেমে বাউন্ডারি মারেন শরীফুল ইসলাম। পরের বলে তিনিও আউট। শেষ বলে চিটাংয়ের প্রয়োজন ৪ রান। চোটের কারণে মাঠ ছাড়া আলিস নেমে শেষ বলে মারেন বাউন্ডারি। ফলাফল চিটাগংয়ের ২ উইকেটের জয়।
টস জিতে খুলনাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান মোহাম্মদ মিঠুন। কিংস অধিনায়কের লক্ষ্যটা ছিল পরিস্কার, যতটা কম রানে সম্ভব খুলনাকে আটকে দেওয়া। সেই লক্ষ্যে খুব একটা খারাপ করেননি বিনুরা ফার্নান্দো-খালেদ আহমেদরা।
খুলনার হয়ে ধারাবাহিক রান করা মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ এদিন তেমন কিছু করতে পারেননি। ৬ বলে ২ রান করে ফিরেছেন টাইগার্স অধিনায়ক। নাঈমের ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ১৯ রান।
তিনে নেমে ৬ বল খেলে রানের খাতা খুলতেই পারেননি অ্যালেক্স রস। আফিফ হোসেন ধ্রুব পারেননি আস্থার প্রতিদান দিতে। ১৪ বলে ৮ রান করে ফিরেছেন বাঁহাতি এ ব্যাটার।
তবে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে সাথে নিয়ে জুটি গড়ার দিকে মনোযোগ দেন হেটমায়ার। শুরুতে দুজনই করেছেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং। এরপর সময় যত গড়িয়েছে ততই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন তারা। অঙ্কন ৩২ বলে ৪১ রান করে ফিরলেও ঠিকই ফিফটি তুলে নিয়েছেন হেটমায়ার। ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৩৩ বলে করেছেন ৬৩ রান।
চিটাগংয়ের হয়ে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন বিনুরা ফার্নান্দো। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন শরীফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, আলিস আল ইসলাম ও আরাফাত সানি।
রান তাড়ায় শুরুতেই পারভেজ হোসেন ইমনকে হারায় চিটাগং। তিনে নামা গ্রাহাম ক্লার্কও পারেননি তেমন কিছু করতে। তবে হোসেইন তালাতকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন খাজা নাফে। দুজনই করেছেন দারুণ ব্যাটিং। একটা সময় মনে হচ্ছিল, খুব সহজেই জিতে যাবে চিটাগং।
তবে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতে খুব একটা সময় লাগেনি। ২৫ বলে ৪০ রান করা তালাতকে আউট করে খুলনাকে ম্যাচে ফেরান নাসুম আহমেদ। এরপর শামীমকেও ধরিয়েছেন প্যাভিলিয়নের পথ। তবে চিটাগং শিবিরে আতঙ্ক ছড়ান পেসার মুশফিক হাসান। ৪৬ বলে ৫৭ রান করা নাফেকে বোল্ড করেন তরুণ এ পেসার।
মিঠুন পারেননি চিটাগংকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে। ৮ বলে ৭ রান করে ফিরেছেন কিংস অধিনায়ক। তবে আলিস করেছেন দুর্দান্ত ব্যাটিং। ৭ বলে ১৭ রানের ক্যামিওতে দলকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন ডানহাতি এ ব্যাটার।
আপনার মতামত লিখুন :