স্পোর্টস ডেস্ক : হোবার্ট হ্যারিকেনসের হয়ে বিগ ব্যাশে খেলা হলো না বাংলাদেশের রিশাদ হোসেনের। সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে বিগ ব্যাশ লিগে দল পেয়েছিলেন রিশাদ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করায় এই তরুণ স্পিনারকে দলে নিয়েছিল হোবার্ট হ্যারিকেনস। কিন্তু ছাড়পত্র না পাওয়ায় টুর্নামেন্টটিতে অংশ নিতে পারেননি রিশাদ।
অথচ দলটির হয়ে খেলতে পারলে বিগ ব্যাশে শিরোপা জয়ের স্বাদ পেতেন তিনি। ফাইনালে সিডনি থান্ডার্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিশাদের হোবার্ট হ্যারিকেনস। ৩৯ বলের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে এই জয়ের অন্যতম নায়ক মিচেল ওয়েন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) হোবার্টে আগে ব্যাট করে হ্যারিকেনসকে ১৮৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল সিডনি থান্ডার্স। জবাব দিতে নেমে ৩৫ বল এবং ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় হ্যারিকেনস।
এদিন ঘরের মাঠে টস জিতে সিডনিকে শুরুতে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় হারিকেন্স। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল সিডনির দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও জেসন সাঙ্ঘার। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৯৭ রান। ৩২ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৪৮ রান করে আউট হন অধিনায়ক ওয়ার্নার।
অপর প্রান্ত থেকে ৪২ বলে ৬৭ রান করেন জেসন সাঙ্ঘা। এ ছাড়া আর কেউই সেভাবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেষদিকে ক্রিস গ্রিনের ৯ বলে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৮২ রানের লড়াকু পুঁজি পায় সিডনি থান্ডার্স।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালায় হোবার্ট হারিকেন্সের ব্যাটাররা। সিডনির বোলারদের ওপর তা-ব চালান মাইকেল ওয়েন। মাত্র ১৬ বলে ফিফটি হাঁকান তিনি। এরপর ইনিংসের ১০ম ওভারে মাত্র ৩৯ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
এরপর ছন্দপতন হলেও হোবার্টের জয় পেতে সমস্যা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বল এবং ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় হ্যারিকেনস।
এর আগে ২০১৩-১৪ এবং ২০১৭-১৮ মৌসুমে দুই বার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জেতা হয়নি হোবার্টের। এবার তৃতীয় দফায় ঘরের মাঠেই আক্ষেপ ঘুছল ফ্র্যাঞ্চাইজিটির।
আপনার মতামত লিখুন :