স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় খ্যাত সাকিব আল হাসানকে টপকে গেছেন দুর্বার রাজশাহীর পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। দল হিসেবে খুব একটা ভালো করতে পারছে না রাজশাহী। তবে ব্যক্তিগতভাবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন দলটিকে নেতৃত্ব দেওয়া তাসকিন। বিপিএল ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার এক আসরে ২০ উইকেট স্পর্শ করা ডানহাতি এ পেসারের সামনে ছিল রেকর্ড গড়ার হাতছানি। রংপুর রাইডার্সের স্টিভেন টেইলর ও রাকিবুল ইসলামকে ফিরিয়ে রেকর্ডটি নিজের করে নেন তাসকিন। ডেইলি ক্রিকেট
রোববারের (২৬ জানুয়ারি) ম্যাচের আগে ২২ উইকেট শিকার করেছিলেন তাসকিন। তার ধারের কাছে নেই আর কোনো বোলার। বিপিএল এক আসরে ২০ উইকেট শিকারের স্বাদ একাধিকবার পাওয়া তৃতীয় বোলার তাসকিন। এর আগে এই কীর্তি ছিল সাকিব আল হাসান ও রুবেল হোসেনের। তাসকিন ২২ উইকেট নিয়েছিলেন ২০১৯ আসরে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে।
এ অর্জনে সাকিবকে স্পর্শ করলেও আরেকটি জায়গায় এখনও সবার ওপরে সাকিব। বিপিএলে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড দেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারের। ২০১৯ আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ১৫ ম্যাচে ২৩টি উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। এবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন তাসকিন।
তাসকিনের রেকর্ডের দিনে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে রাজশাহী। রংপুর রাইডার্সকে ২ রানে হারিয়েছে তারা। আর তাতেই প্লে অফে খেলার স্বপ্ন টিকে রইলো রাজশাহীর।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা ভালো করতে পারেনি রাজশাহী। খুশদিল শাহ-আকিফ জাভেদদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১১৯ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস। পদ্মা পাড়ের দলটির হয়ে ২৯ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন সানজামুল ইসলাম। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান করেছেন আকবর আলী।
রংপুরের হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন খুশদিল শাহ। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও রাকিবুল ইসলাম।
রান তাড়ায় শুরুতেই স্টিভেন টেইলরের উইকেট হারায় রংপুর। সৌম্য সরকার ফেরাটা কাজে লাগাতে পারেননি। ১৩ বলে ৮ রান করে ফিরেছেন তিনি। সাইফ হাসান রানের খাতা খুলতেই পারেননি।
ইফতেখার আহমেদ-নুরুল হাসান সোহানরা তেমন কিছুই করতে পারেননি। খুশদিল শাহ ফিরেছেন ১৮ বলে ১০ রান করে। তবে রাকিবুলকে নিয়ে চেষ্টা করেছিলেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু তার ৩১ বলে ৫২ রানের ইনিংসটি শুধু রংপুরের হারের ব্যবধান কমাতে পেরেছে। রাজশাহীর হয়ে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
আপনার মতামত লিখুন :