নিজস্ব প্রতিবেদক: এবারো পারলো না সিলেট স্ট্রাইকার্স। গত তিন তিনটি পর্ব অতিক্রম করে কোনো লাভ হয়নি। ভাগ্য সিলেটের অনুকূলে আসেনি। ঢাকার দ্বিতীয় পর্বটাও সুখকর হলো না তাদের। সিলেট ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেলো ফরচুন বরিশালের কাছে।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আরিফুল হক। সিলেট অধিনায়কের লক্ষ্যটা ছিল পরিস্কার, যতটা সম্ভব বরিশালকে বেশি রানের লক্ষ্য দেওয়া। তবে মাঠে ঘটেছে তার উল্টো, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের বোলারদের তোপের মুখে পড়েন তারা।
ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ নবী ও জেমস ফুলারের সামনে অসহায় আত্মসমার্পণ করেছে সিলেটের ব্যাটাররা। ফাহিম একাই নিয়েছেন ৩.২ ওভারে ৭ রানে ৫ উইকেট। যা কিনা চলতি বিপিএলে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। এবারের বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ফুলার শিকার করেছেন ২১ রানে দুই উইকেট। মোহাম্মদ নবী ২টি ও রিশাদ হোসেন শিকার করেছেন ১ উইকেট। তাতেই মাত্র ১১৬ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট।
চায়ের শহরের দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রানের ইনিংস খেলেছেন আহসান ভাট্টি। ১৯ বলে ২৪ রান করেছেন জাকের আলী অনিক। আরিফুল (১৩) ও তানজিম হাসান সাকিব করেছেন (১৩) রান।
১১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বরিশাল। আরও একবার ব্যর্থ তাওহীদ হৃদয়। ৭ বলে ৭ রান করে নাহিদুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি দাওয়ীদ মালান। ৮ বলে ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিনি।
তবে বরিশালকে বিপদে পড়তে দেননি তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। দুজনেই করেছেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং। সিলেটের বোলারদের দেখেশুনে খেলেছেন তারা। রান বেশি প্রয়োজন না থাকায় খুব একটা বাউন্ডারি মারার প্রয়োজন পড়েনি তাদের। তবে তানজিম সাকিব-সুমন খানরা বাজে বল করলে সেটা বাউন্ডারি ছাড়া করতে ভুল করেননি বরিশালে অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার। ৫১ বলে ৫৪ রান করে অরাজিত ছিলেন তামিম, মুশফিকের সংগ্রহ অপরাজিত ৪২ রান।
আপনার মতামত লিখুন :