স্পোর্টস ডেস্ক: দেশিয় ক্রিকেটের শাসক সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দেশের নারী ক্রিকেটের জন্য নতুন দুটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ম্যাচ জিতলে আর্থিক পুরস্কার হিসেবে পাবেন বোনাস।
পাশাপাশি চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে আরও ৩০ জন থাকবেন প্রথম শ্রেণির চুক্তিতে। শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিসিবির বোর্ড সভা। এরপর দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার সভাপতি ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন এসব পরিকল্পনার কথা। এই উদ্যোগগুলো পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের মধ্যকার আর্থিক বৈষম্য কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে।
নারীদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন প্রায় ২৫ ক্রিকেটার। চুক্তিতে থাকার সুবিধা লাভ করেন জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া খেলোয়াড়রা। দেশের ক্রিকেট কাঠামোতে বিদ্যমান পুরুষদের মডেল অনুসরণ করে নারীদের জন্যও চুক্তির পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। ফারুক বলেছেন, আপনারা জানেন, আমাদের মেয়েদের একটা কেন্দ্রীয় চুক্তি আছে। এর সঙ্গে আরও ৩০ জন ক্রিকেটারকে (প্রথম শ্রেণির চুক্তিতে আনব আমরা)। ছেলেদের জাতীয় লিগ যারা খেলে, তাদের যেমন চুক্তি আছে, তেমনই ৩০ জন মেয়ের জন্য একটা চুক্তি চালু করবো আমরা।
পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে উইনিং বোনাস চালুর কথা উল্লেখ করেছেন বোর্ড প্রধান, ছেলেদের মতো মেয়েদেরও উইনিং বোনাস চালু করছি আমরা। এটা নতুন জিনিস। এটা হবে র্যাঙ্কিংভিত্তিক পদ্ধতিতে। তারা যদি শীর্ষ তিন র্যাঙ্কিংধারী দলকে হারায়, তাদের জন্য হবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বোনাস এবং যদি চার, পাঁচ ও ছয় নম্বর র্যাঙ্কিংয়ে থাকা দলকে হারায়, তাহলে অঙ্কটা ভিন্ন হবে। ছেলে ও মেয়েদের ক্ষেত্রে বোনাস (টাকার অঙ্ক) ভিন্ন হবে, কিন্তু তারা (মেয়েরা) বোনাস পাবে।
কিছুদিন আগে দুবাইতে ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশের যুবারা। ওই দলের খেলোয়াড়, অফিসিয়াল ও কোচিং স্টাফসহ সবাইকে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করা হবে। ফারুক বলেছেন, এছাড়া, সিদ্ধান্ত হয়েছে যে এশিয়া কাপজয়ী দলের ক্রিকেটারসহ প্রত্যেক সদস্যকে আমরা ৩ লাখ টাকা করে প্রাইজমানি দেবো।
আপনার মতামত লিখুন :