স্পোর্টস ডেস্ক: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম সেশনটা দুর্দান্ত কেটেছিলো। ২৭ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫০ রান তুলতে পেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইন্ডিজরা। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে স্বাগতিকদের সামনে থেকে পথ দেখিয়েছেন মিকাইল লুইস। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন অ্যালিক অ্যাথানেজ। তাতেই প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকেরা।
টস জিতে বোলিংয়ে শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে মেইডেন আদায় করে নেন হাসান মাহমুদ। একের পর এক আউট সুইংয়ে ক্রেইগ ব্রাফেটকে ভুগিয়েছেন টাইগার এ পেসার। শরীফুল ইসলাম সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম বাউন্ডারি পায় পঞ্চম ওভারে।
টাইগার পেসারদের সুইং ভালোভাবে সামাল দেন ক্যারিবিয়ান দুই ওপেনার ব্রাফেট ও লুইস। তবে সেই জুটিকে বড় হতে দেননি তাসকিন। টাইগার এ পেসারের ফুল লেংথে স্টাম্প বরাবর বলে এলবিডব্লিউ হন ব্রাফেট। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৩৮ বলে ৪ রান করেন ব্রাফেট। - ডেইলি ক্রিকেট
এরপর কেসি কার্টিকে ফেরান তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকে ভুগছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার। তাসকিনের মিডল স্টাম্পের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে তাইজুল ইসলামের হাতে সহজ ক্যাচ দেন কার্টি। উইকেটে আসার পর থেকে লুইসকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন হজ। টাইগার বোলারদের খুব একটা সুযোগ দিচ্ছেন না তারা।
তবে দ্বিতীয় সেশনে ভাঙে সেই জুটি। মিরাজকে পুল করে ডাবল নিতে গিয়েছিলেন হজ। ফাইন লেগ থেকে তাইজুলের দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউট হন ডানহাতি ট ব্যাটার। তাতেই থামে ৬৩ বলে তার ২৫ রানের ইনিংসটি।
এরপর উইকেটে এসে লুইসকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন অ্যাথানেজ। দুজনেই করছেন দারুণ ব্যাটিং। টাইগার বোলারদের বাজে বলের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। আর সেটি পেলেই মেরেছেন বাউন্ডারি।
লুইস-অ্যাথানেজ জুটির ব্যাটিংয়ের সময় ম্যাচে বেশ পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। দুজনেই সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন। কিন্তু ৭৪.২ ওভারে লুইস ৯৭ রানে আউট হওয়ার ১৯ বল পর অ্যাথানেজও ব্যক্তিগত ৯০ রানে আউট হওয়ায় ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ।
দিনের বাকিটা সময় জশুয়া ডি সিলভাকে নিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন জাস্টিন গ্রিভস। প্রথম দিন শেষে গ্রিভস অপরাজিত ১১ রানে, সিলভা দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন ১৪ রান নিয়ে। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মিরাজ ও তাইজুল।