স্পোর্টস ডেস্ক: সিরিজ শুরুর ম্যাচে ম্যাথিউ শর্ট ও জেইক ফ্রেজার-ম্যাগার্কের তা-বে উড়ন্ত শুরু পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই ছুটে চলায় লাগাম টেনেছিলেন হারিস রউফ। কিন্তু একেরপর এক ক্যাচ মিসের মহড়ায় চাপ ধরে রাখতে পারল না পাকিস্তান। লক্ষ্য তাড়ায় স্পেন্সার জনসনের পেস তোপের সামনে দাঁড়াতে পারল না কেউই। বাঁহাতি এই পেসারের ৫ উইকেট শিকারে ১৩ রানের জয়ে টি-টুয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
শনিবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৪৭ রানের সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো পাকিস্তানের ইনিংস থামে ১৩৪ রানে।
উসমান খানের ৫২ ও শেষ দিকে ইরফান খানের অপরাজিত ৩৭ রান ছাড়া অজিদের সামনে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি অন্য কোনো ব্যাটার। এর আগে ফিল্ডিংয়ের সময় পাঁচটি ক্যাচ ছাড়ে পাকিস্তান। - অলআউট স্পোর্টস
লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই বাবর আজমকে (৩) হারায় সফরকারীরা। পরের ওভারে সাহিবজাদা ফারহানকে (৫) তুলে নিয়ে উইকেট শিকারে যোগ দেন জনসন। তৃতীয় উইকেটে উসমানকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেন্থে হাত খুলে খেলতে পারছিলেন না কেউই।
দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে রিজওয়ানকে (১৬) ফিরিয়ে ২৭ রানের এই জুটি ভাঙেন জনসন। পরের বলেই সালমান আলী আগাকেও তুলে নেন বাঁহাতি এই পেসার। ষষ্ঠ উইকেটে উসমান-ইরফানের ৫৬ রানের জুটিতে জয়ের কিছুটা আশা জাগলেও ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের আরেকটি জোড়া আঘাতে সেটিও ফিকে হয়ে যায়। ১৬তম ওভারে তিনি তুলে নেন উসমান ও আব্বাস আফ্রিদির উইকেট।
শেষ দিকে ইরফানের ঝড়ো ব্যাটিং কেবল পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমায় পাকিস্তানের। ২ বলে আগে অলআউট হয় তারা। ২৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা জনসন। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শর্ট ও ফ্রেজার-ম্যাগার্কের ঝড়ে ৩ ওভার ১ বলেই ৫০ রানের সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া, যা দেশটির ইতিহাসের দ্রুততম। কিন্তু এরপরই হারিসের পেস তোপে খেই হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা।
চতুর্থ ওভারের চতুর্থ ডেলিভারিতে ৯ বলে ২০ রান করা ফ্রেজার-ম্যাগার্ককে ফিরিয়ে ৫২ রানের জুটি ভাঙেন হারিস। এক বল পর অধিনায়ক জশ ইংলিসকেও (০) তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে স্বস্তি এনে এই ডানহাতি পেসার। পরের ওভারে আরেক ওপেনার শর্টের (৩২) স্টাম্প ভাঙেন আব্বাস।
৪ রানের ভেতর ৩ উইকেট হারানোর পর আর রানের গতি বাড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ উইকেটে ৩০ রান যোগ করে সেই চাপ সামাল দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মার্কাস স্টয়নিস। তবে সুফিয়ান মুকিমের ঘূর্ণিতে এই দুই ব্যাটার দ্রুত ফিরলে আবারও চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত অ্যারন হার্ডির ২৮ রানে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। সোমবার হোবার্টে সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে দু’দল।
আপনার মতামত লিখুন :