পার্সটুডে-১৯৮০'র দশকে ইরানে প্রথম প্যারাগ্লাইডারদের আগমনের মধ্য দিয়ে প্যারাগ্লাইডিং খেলাটি আগ্রহীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগায়।
ইরানের ভৌগোলিক অবস্থান এবং এর দর্শনীয় আকর্ষণের কারণে প্যারাগ্লাইডারের ভক্ত প্রচুর।
ইরানে প্যারাগ্লাইডিং এয়ার স্পোর্টসের অধীনস্থ একটি খেলা। এই খেলাটি ১৯৯৫ সালে তেহরানের শিরুদি স্টেডিয়ামে ইরান মাউন্টেনিয়ারিং ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে শারীরিক প্রশিক্ষণ সংস্থায় প্যারাগ্লাইডিং কমিটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শুরু হয়। ২০১০ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফেডারেশন অফ স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন গঠনের মধ্য দিয়ে ক্রীড়ার কার্যক্রম চলে এবং ইরানের এয়ার স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ইরান অভিভাবক হিসেবে এই খেলাটির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২০ সালের আগস্টে একজন ইরানী প্যারাগ্লাইডার সোহেল বারিকানি ইরান এবং এশিয়ার মুক্ত দূরত্বের উড্ডয়নে একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলন। এর আগে এই রেকর্ড ছিল আলিরেজা এসনা আশারার দখলে। তাঁর মুক্ত দূরত্ব ছিল ৪১৮ কিমি অর্থাৎ সোহেল বারিকানি ২৩ কিমি উর্ধ্বে উড়ে নয়া রেকর্ডে তার নাম নিবন্ধিত করলেন।
সোহেল বারিকানি ইরান এবং এশিয়ার মুক্ত দূরত্বের উড্ডয়নে একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন।
ফাতেমে শরিফী ইরানি প্রথম মহিলা পাইলট যিনি ৩০০ কিলোমিটারের বেশি উপরে শূন্যে উড়তে সক্ষম হয়েছিলেন।
আগস্ট ২০১৯ সালে, ইরানী মহিলা প্যারাগ্লাইডার ফাতেমে শরিফী, ইরানের কেরমানশাহ'র পশ্চিমে অবস্থিত কারান্দের শুরু থেকে ইরানের কাজভিন স্পা এর পার্শ্ববর্তী এলাকা পর্যন্ত ৩২০ কিমি আকাশপথ পাড়ি দিয়ে রেকর্ড করতে সক্ষম হন এবং মহিলাদের জন্য মুক্ত আকাশ দূরত্বের ইরান এবং এশিয়ার রেকর্ড স্থাপন করেন। পাশাপাশি ইএনবি (En B) উইং ফ্লাইট রেকর্ডও করেন তিনি।
বর্তমানে ইরানের প্রায় সব এলাকাতেই প্যারাগ্লাইডারে ওড়ার ব্যবস্থা রয়েছে, সারা বছর ধরেই ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে বিচিত্র রঙিন প্যারাগ্লাইডার প্রতিযোগিতা ও উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি সপ্তায় গোলেস্তান প্রদেশের রমিয়ানে রঙিন এবং মুক্ত প্যারাগ্লাইডারদের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই উৎসবের লক্ষ্য ছিল প্যারাগ্লাইডিং এয়ার স্পোর্টসকে সমগ্র ইরানে ছড়িয়ে দেওয়া। বায়ু ক্রীড়াকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে ৩০০ প্যারাগ্লাইডারের অংশগ্রহণে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ওই উৎসব পালিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :