সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ২৪৫ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (১১ নভেম্বর) শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনজুরির কারণে এই ম্যাচ মিস করেছেন নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৮ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মিরাজের ব্যাটে আসে ৬৬ রান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুর্দান্ত সূচনা করে টাইগাররা। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার মিলে গড়েন অর্ধশত রানের জুটি। দলীয় ৫৩ ও ব্যক্তিগত ২৪ রানে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। সৌম্যের বিদায়ের পরপরই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তানজিদ তামিম। ১৯ রান করে মোহাম্মদ নবির বলে হাসমতউল্লাহ শাহীদির হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদী মিরাজ। তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন জাকির হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। দুজনের ব্যাটেই এ ম্যাচে দেখা যায় রান খরা। জাকির ও হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৪ ও ৭ রান।
শতরান থেকে মাত্র দুই রান দূরে থাকতে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
৭২ রানে ৪ উইকেট হারালে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ১৪৫ রানের বিশাল জুটি গড়েন মেহেদী মিরাজ। ব্যক্তিগত ৬৬ রানে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন মিরাজ। জাকির আলী ফেরেন ১ রানে। নাসুম আহমেদের ব্যাটে আসে ৫ রান।
ইনিংসের শেষ বলে শতরান থেকে মাত্র দুই রান দূরে থাকতে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৯৮ রানে রান আউটের শিকার হন তিনি।
আফগানিস্তানের পক্ষে ৩৭ রানের খরচায় ৪টি উইকেট তুলে নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এছাড়া ১টি করে উইকেট পান মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খান।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, জাকির হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলি (উইকেটরক্ষক), নাসুম আহমেদ, নাহিদ রানা, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), সেদিকুল্লাহ আটাল, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), আজমতুল্লাহ ওমরজাই, গুলবাদিন নায়েব, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, নাঙ্গেলিয়া খারোতে, এএম গজানফার, ফজল হক ফারুকী।