স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বের সাবেক নাম্বার ওয়ান ব্যাটার পাকিস্তানের বাবর আজম ফর্মহীনতার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে সময় পার করছেন। ব্যাট হাতে টানা ব্যর্থতার ফলে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজের শেষ দুই টেস্টের দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। অবশ্য এর আগে দলীয় ব্যর্থতার পর সমালোচনার মুখে সাদা বলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বাবর। সবমিলিয়ে বিপর্যস্ত সাবেক নাম্বার ওয়ান ব্যাটারের ফর্ম ফেরাতে ও মানসিকভাবে ঠিক থাকতে পরামর্শ দিতে এগিয়ে এসেছেন সাবেক ভারতীয় তারকা বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। - ক্রিকেট পাকিস্তান
ভারতীয় সাবেক এ তারকা ব্যাটার মনে করছেন ব্যাট হাতে ফর্মের চেয়ে বাবর মানসিকভাবেই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই কিছুদিন ক্রিকেট থেকে দূরে রেখে পরিবারকে সময় দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। শেহওয়াগ মনে করেন, পরবর্তীতে জাতীয় দলে ফেরার ক্ষেত্রেও বাবরের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেলে অতিথি হয়ে কথা বলতে এসে বাবরকে এ পরামর্শ দেন শেহওয়াগ।
সাবেক ভারতীয় ওপেনার বলেন, এই মুহূর্তে বাবরের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলা উচিত। সেই সঙ্গে তাকে কাজ করতে হবে ফিটনেস নিয়েও। তবে সবার আগে পরিবারের সঙ্গে আগের চেয়ে বেশি সময় কাটানো উচিত। এরপর সে শারিরীকভাবে তুলনামূলক বেশি ফিট এবং মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবে।
ক্যারিয়ারের কঠিন সময়ে বাবর মানসিকভাবে বেশি চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছেন উল্লেখ করে সাবেক ভারতীয় ওপেনার আরও বলেন, বাবরের প্রতি প্রত্যাশার পারদ নিচে নেমে গেছে এবং এরপর নেতৃত্বও ছাড়ল সে। তবে মনে হচ্ছে কৌশলগত দিকের চেয়ে মানসিকভাবে বেশি প্রভাব পড়েছে তার ওপর। তার এখন মানসিক দিক থেকে শক্ত থাকা উচিত। সে প্রতিভাবান ক্রিকেটার এবং এমন তারকারা খুব দ্রুতই আবার বাউন্স ব্যাক (ঘুরে দাঁড়াতে) করতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাবরের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজ থেকে বিশ্রাম দেয়া হয় দুই পেসার শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহকেও। এরপর দ্বিতীয় টেস্টে স্পিনারদের দাপটে দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। সাজিদ খান ও নোমান আলি মিলেই ভাগাভাগি করেন ইংলিশদের ২০ উইকেট। ফলে তিন বছরেরও বেশি সময় পর ঘরের মাটিতে টেস্ট জয়ের অপেক্ষা শেষ হয়েছে পাকিস্তানের। ইংলিশদের ১৫২ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে শান মাসুদের দল। আগামী ২৪ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডির ২২ গজে গড়াবে দু’দলের মধ্যকার তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। যা ইতোমধ্যে অঘোষিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে।