শিরোনাম

প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:২৫ বিকাল
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাফুফে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন রুহুল আমিন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিনিয়র সহ সভাপতি ইমরুল হাসান

এল আর বি: বহু বছর ধরে ফুটবলের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছিলেন তরফদার রুহুল আমিন। সেই লক্ষ্যে তিনি একবার কাজি সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সব আয়োজনও করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত পারলেন না। রাজনৈতিক চাপে তার স্বপ্ন ভেস্তে যায়। এবারো তরফদার  সভাপতি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ঘোষণা দেওয়ার পর বেশ কিছুদিন তার দেখা পাওয়া যায়নি। মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষ মুহূর্তে এসে সিনিয়ন সহ-সভাপতি পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি এবং জমা দেন প্রতিনিধির মাধ্যমে।

একই পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন বসুন্ধরা কিংসের কর্ণধার ইমরুল হাসান। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে তরফদার রুহুল আমিন জানিয়েছিলেন, আলাপ-আলোচনা চলছে। সমঝোতা হলে হয়তো মনোনয়ন প্রত্যাহার করতেও পারি।

তরফদার রুহুল আমিন শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ৫টি গুরুতর অভিযোগ এনে। এর ফলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাফুফের সিনিয়র সহ সভাপতি হলেন। তরফদারের মতে, এবারের বাফুফে নির্বাচন পুরোটাই প্রশ্নবিদ্ধ।

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বরাবর লেখা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠিতে তরফদার রুহুল আমিন লিখেছেন, ‘আসন্ন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন ২০২৪ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী পদ থেকে নি¤œলিখিত কারণে আমি আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলাম।’

১. আইন না মেনে ডেলিগেট ফরম সরাসরি হাতে হাতে প্রদান করা।

২. ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধ এবং বাফুফে থেকে বহিষ্কৃত সেক্রেটারি মো. আবু নাঈম সোহাগ কর্তৃক নির্বাচন বিধিমালা প্রকাশ ও বিতরণ।

৩. প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন কমিশন গঠন। কারণ, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পরপর পাঁচবার একই দায়িত্বে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

৪. নির্বাচন আয়োজনে স্বচ্ছ পরিবেশ তৈরি করতে না পারা।

৫. নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকা।

তরফদার রুহুল আমিন সরে দাঁড়ানোয় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়