স্পোর্টস ডেস্ক: রোববার যদি আবহাওয়া অনুকূল থাকে, তাহলে ভারতের জন্য সর্বনাশ আর নিউজিল্যান্ডের জন্য পৌষমাস হতে পারে। প্রথম টেস্ট জিততে নিউজিল্যান্ডকে করতে হবে ১০৭ রান। সরফরাজ আহমেদ ও ঋষভ পন্তের জুটিতে দেড় সেশনেরও বেশি সময় কোনো উইকেট হারায়নি ভারত। কিন্তু হাতে থাকা ৭ উইকেট শেষ ৫৪ রানেই হারিয়ে ফেলে রোহিত শর্মার দল। তাই জেতার জন্য শেষ দিনে কেবল ১০৭ রান দরকার প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডের।
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হওয়ার পর শনিবার ফের ব্যাটিংয়ে নামে কিউইরা। কিন্তু আলোকস্বল্পতা ও বৃষ্টির কারণে ৪ বলের বেশি খেলতে পারেনি। সেই চার বল থেকে অবশ্য কোনো রানও পায়নি। টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ে দুজনেই শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
৩ উইকেটে ২৩১ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে ভারত। ঋষভ পন্তের সঙ্গে জুটি বেঁধে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন সরফরাজ খান। দ্বিতীয় নতুন বল আসার পর্যন্ত ভালোই খেলছিলেন তারা। কিন্তু নতুন বল খুব দ্রুতই ব্রেকথ্রু পায় নিউজিল্যান্ড। সরফরাজকে প্যাটেলের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান টিম সাউদি। ভাঙেন চতুর্থ উইকেটে ১৭৭ রানের জুটি।
১৯৫ বলে ১৮ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন সরফরাজ। সেঞ্চুরির পথে ছিলেন পন্তও। কিন্তু এনিয়ে সপ্তমবার ‘নার্ভাস নাইন্টিজে’ কাটা পড়লেন এই বাঁহাতি। ১০৫ বলে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় ৯৯ রানে বোল্ড হন তিনি।
এরপর প্রথম ইনিংসের মতো আবারও নাটকীয়ভাবে ধসে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। ৩ উইকেটে ৪০৮ থেকে গুটিয়ে যায় ৪৬২ রানেই। শেষ দিকে আর কোনো ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি। কিউইদের হয়ে ম্যাট হেনরি ও উইলিয়াম ও’রোর্ক তিনটি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া দুটি উইকেট এজাজ প্যাটেল ও একটি করে উইকেট নেন গ্লেন ফিলিপস এবং সাউদি।
১০৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর চার বল মোকাবিলা করেন ল্যাথাম। এরপর আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। তবে এনিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়াতে দেখা যায় ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর অঝোরে বৃষ্টি নামতে শুরু করলে দিনশেষের ঘোষণা দেওয়া হয়।