স্পোর্টস ডেস্ক: দারুণ খেলেছে জার্মান ফেভারিট বায়ার্ন মিউনিখ। কিন্তু জয়ের দেখা পায়নি অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক মার্টিনেজের অনমনীয় দৃঢ়তায়। যখন মিউনিখ খেলার ফলাফল ড্র মেনে নিতে যাচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে গোল করলো অ্যাস্টনভিলা। সেই গোলেই হেরে গেলো বায়ার্ন। চ্যাম্পিয়নস লিগে জন ডুরানের গোলে বায়ার্ন মিউনিখকে ১-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা।
১৯৮২ ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে এই অ্যাস্টন ভিলার কাছে হেরেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। ব্যবধান ছিল ১-০। ৪২ বছর পর সেই একই ব্যবধানেই হেরেছে জার্মান দলটি। মূলত আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের অবিশ্বাস্য কয়েকটি সেভে জয় পায় ইংলিশ ক্লাবটি। মার্টিনেজ ম্যাচে মোট ৭টি সেভ করেছেন। এরমধ্যে সার্জ ন্যাব্রিকে দু’বার আর হ্যারি কেইনকে একবার ‘প্রায় গোল’ থেকে বঞ্চিত করেছেন।
বুধবার (২ অক্টোবর) নিজেদের ঘরের মাঠ ভিলা পার্কে বায়ার্ন মিউনিখকে আতিথ্য জানায় অ্যাস্টন ভিলা। আগের ম্যাচেই দিনামো জাগরেবকে ৯-২ গোলে উড়িয়েছে ভিনসেন্ট কোম্পানির দল। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে ইংলিশ ক্লাবগুলোর বিপক্ষে বায়ার্নের রেকর্ডও ভালোই, সর্বশেষ দশ ম্যাচের মধ্যে ৭টিতে জয়, দুটিতে ড্র। তাই ফেভারিটের তকমা নিয়েই খেলতে নামে বায়ার্ন।
ম্যাচের শুরু থেকেই বল পায়ে রাখায় আধিপত্য ধরে রাখে বুন্দেসলিগা দল। বায়ার্ন দুই তৃতীয়াংশ বলের দখল ধরে রেখে সেরা সুযোগ পায়। কিন্তু ভিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী কিপার মার্টিনেজ সেরা ফর্মে ছিলেন। আর্জেন্টিনা গোলকিপার প্রথমার্ধে হ্যারি কেইনের বুলেট হেড প্রতিহত করেন। পরে ইংলিশ স্ট্রাইকার মাইকেল অলিসের শট মাঠের বাইরে পাঠান মার্টিনেজ। গোলশূন্য সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুদল।
দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে গোল করাটাকে যেন নিয়মে পরিণত করে ফেলেছেন ২০ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এভাবে চলতি মৌসুমে এই নিয়ে পাঁচটি গোল করলেন তিনি। শেষ দিকে সমতাসূচক গোলের জন্য হন্যে হয়ে থাকা বায়ার্নকে অবিশ্বাস্যভাবে রুখে দেন আর্জেন্টাইন কিপার। গোলমুখে ছুটতে থাকা কেইনের হেড থামান তিনি।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলেও বড় লাফ দিয়েছে ভিলা। দুই ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠেছে তারা। আরও ছয়টি দলের পয়েন্টও সমান ৬। গোল ব্যবধানে এগিয়ে সবার ওপরে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।