স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টের আগে আচমকাই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুযোগ করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার। তবে বিসিবি চাইলে এক বছর পর আবারও টি-টোয়েন্টি ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ টেস্টে মাঠে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি থেকে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দিলেও এখনও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চান সাকিব। ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে কবে নাগাদ বিদায় নেবেন এ ব্যাপারে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার বলেন, আশা করছি, ওয়ানডেতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর (অবসর)। তো হয়তো আর ৯টা ওয়ানডে।- অলআউট স্পোর্টস
সাম্প্রতিক সময়ে মাঠের পারফরম্যান্সে খুব একটা ছন্দে নেই সাকিব, যা নিয়ে হচ্ছে বেশ সমালোচনাও। সঙ্গে রয়েছে মাঠের বাইরের নানা বিতর্কও। ফলে অনেকের মাঝেই প্রশ্ন জাগে, অভিমান থেকেই তিনি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না? তবে নতুন প্রজন্মকে সুযোগ করে দিতে বিসিবির সঙ্গে আলোচনা করেই বিদায় বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান জানিয়ে এই সাবেক অধিনায়ক।
না না, কষ্ট কিংবা অভিমান থেকে নেওয়া না। আমার মনে হয় এটাই সঠিক সময় মুভ অন করার জন্য, নতুনদের আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। একইসাথে টি-টুয়েন্টিতেও আমার একই ধরনের চিন্তা। বোর্ডের সবার সাথেও কথা হয়েছে। এটাই সেরা সময় যে টি-টোয়েন্টি থেকেও আমি মুভ অন করি।
আমি বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো খেলি ৬ মাস বা ১ বছর। এর মধ্যে নতুন প্লেয়াররা সুযোগ পাক, নতুন প্লেয়াররা আসুক। এরপর যদি বোর্ড মনে করে আমার টি-টোয়েন্টিতে অবদান রাখার সুযোগ আছে তাহলে আমরা বসে আলোচনা করতে পারি। আমি নিজেকে টি-টুয়েন্টিতে দেখছি না। দক্ষিণ আফ্রিকা যেহেতু টেস্ট সিরিজ, আমার ইচ্ছা আছে লাস্ট সিরিজ হবে। দুই ফরম্যাটে আমার শেষটা আমি দেখছি।
ভারতের বিপক্ষে টি-টেয়েন্টি সিরিজেও খেলবেন না জানিয়ে সাকিব বলেন, না, এই ম্যাচগুলো খেলার কোনো কারণ দেখছি না। আমার কাছে মনে হয় নতুনদের সুযোগ দেওয়া উচিত। তাদের দেখার ভালো সুযোগ এটা। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে। ২০২৬ সালের দিকে যদি বোর্ড তাকায় সেটাই ভালো দিক। আমরা সবাই মিলে এটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সবাই একমত আছি।
টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নেওয়ায় গত জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিই এই ফরম্যাটে সাকিবের শেষ ম্যাচ হয়ে রইল। সেই ম্যাচে বল হাতে কোনো উইকেট পাননি তিনি। এরপর ব্যাট হাতেও ফেরেন কোনো রান না করেই।